সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে মনে বিস্তর ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিতর্কে এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমানে ভাতার লোকাল কমিটির সম্পাদক সৌমেন কার্ফা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ফেসবুকে তাঁর পোস্টের নিচে আবার কমেন্টও করেছেন এসএফআইয়ের নেতানেত্রীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কেউ আবার ‘বিদ্রোহী’ ছাত্রনেতাকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শও দিয়েছেন। এই ঘটনায় নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নয় সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব। এসএফআই নেতার সৌমেন কার্ফার দাবি, ফেসবুকে তিনি যা পোস্ট করেছেন, তা একান্তই ব্যক্তিগত। রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তবে আপাতত উপেক্ষা করা হলেও, ওই ছাত্রনেতা শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে খবর।
[মেদিনীপুর কাণ্ডে তিন পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
ঘটনাটি ঠিক কী? অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সহ-সম্পাদক ছিলেন সৌমেন কার্ফা। নভেম্বরে জেলা ভাগের পর সম্মেলন হয় পূর্ব বর্ধমানে। সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে সৌমেনের নাম জমা পড়েছিল। কিন্তু, নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে সভাপতি হতে দেননি এসএফআইয়েরই বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য। উলটে প্যানেল হেরে গেলেও, সংগঠনের উপরতলার নেতাদের পছন্দের লোকই জেলা সভাপতি ও জেলা সম্পাদক হন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এসএফআইয়ের রাশ থাকে হেরে যাওয়া প্যানেলের হাতেই। ভাতার লোকাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পান সৌমেন কার্ফা। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, দলীয় নিয়মে ১৮টি লোকাল কমিটির সম্পাদকই জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন শুধু সৌমেন। এফআইআই নেতৃত্বের একাংশ বক্তব্য, জেলা কমিটিতে জায়গা না পেয়েই ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের এসএফআই নেতা সৌমেন কার্ফা। ফেসবুকে সংগঠনের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিস্ফোরক পোস্ট করছেন তিনি।
ঘটনার শোরগোল পড়েছে এসএফআইয়ের অন্দরে। প্রকাশ্যে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি নন জেলার শীর্ষনেতারা। সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বান রায়চৌধুরির প্রতিক্রিয়া, ‘সংগঠন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।’ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বামপন্থী ছাত্রনেতা সৌমেন কার্ফাও। তবে ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর দাবি, ফেসবুক যা পোস্ট করেছেন, তা নিতান্তই ব্যক্তিগত। রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তবে আপাতত উপেক্ষা করলেও, তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
[সুচিকিৎসক হিসেবেই খ্যাতি, ফার্মাসিস্টের বদলি রুখলেন বাসিন্দারা]