রঞ্জন মহাপাত্র, পূর্ব মেদিনীপুর: কৈশোরে যেমন হয় আর কী! এক স্কুল পড়ুয়াকে বন্ধুদের সঙ্গে লুকিয়ে বিড়িতে টান দিতে দেখে ফেলেছিলেন পাড়াতুতো এক জেঠিমা। বাড়িতে বলেও দিয়েছিলেন। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রকে বকাঝকা করেছিলেন মা। আর সেই অভিমানেই বাড়িত থেকে পালিয়ে আত্মহত্যা করল এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে।
[মোবাইল চুরির অপবাদ, শাশুড়ির নাকে সজোরে ঘুসি বউমার]
আত্মঘাতী ওই কিশোরের নাম মানস দাস মহাপাত্র। ভগবানের জলিবাড় গ্রামে বাড়ি। স্থানীয় এক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল মানস। রোজকারের মতো সোমবার সকালেও স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মানস। কিন্তু, স্কুলে যাওয়ার পথে, বাড়ি থেকে সামান্য দুরে ঝোপের আড়ালে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিড়ি খাচ্ছিল সে। ওই কিশোরকে ধূমপান করতে দেখে ফেলেন পাড়াতুতো এক জেঠিমা। মানসের কীর্তির কথা তাঁর মা জানিয়ে দেন তিনি। বাড়ি ফিরতে ছেলেকে বকাঝকা করেন মা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মায়ের বকা খেয়ে দুপুরে বাড়িতে বেরিয়ে যায় মানস। আর বাড়ি ফেরেনি সে। রাতভর খোঁজাখুজি করেও তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি গাছে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান মানসের বাবা। ছেলের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই কিশোরের বাবা-মা। মায়ের আক্ষেপ, ‘কেন যে ছেলেটাকে বকতে গেলাম?’ শোকের ছায়া গোটা গ্রামে। মানসের আত্মহত্যার খবর পেয়ে হতবাক তার স্কুলের শিক্ষকরাও।
[পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে ভাগীরথীতে ঝাঁপ, খোঁজ নেই ২ শ্রমিকের]
স্কুল বা কলেজ জীবনে ধূমপান করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাননি, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ধূমপানের জন্য বাড়িতে বকুনি খেতে হয়েছে। কিন্তু, এই সামান্য কারণে কেন আত্মহত্যা করতে গেল মাত্র ১৩ বছরের ওই কিশোর? মনোবিদরা বলছেন, সাধারণভাবে এমনটা হওয়া কথা নয়। তবে কিশোরদের মন অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। তাই কখন, কোন ঘটনা তাদের মনে কী প্রভাব ফেলবে, তা বলা খুবই মুশকিল।
[অবিশ্বাস্য! বৃদ্ধার গলা থেকে বেরল ১ কেজি ৭০০ গ্রামের টিউমার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.