স্টাফ রিপোর্টার: আনাজপাতি থেকে ডাল সবেতেই দাম বাড়ছে রকেটের গতিতে। তাই সবজি-ডালে মেখে সাপটে লাঞ্চ সারার আগে দু’বার ভাবতে হচ্ছে। আর মাছ-মাংস তো ছোঁয়াই দায়। এ অবস্থায় আমিষপ্রিয় বাঙালির ভরসা ছিল ডিম। স্রেফ আলুসেদ্ধ ভাত সঙ্গে একটু ঘি, মাখন, কাঁচা লঙ্কা। আর একটি সেদ্ধ ডিম। কিংবা আলু দিয়ে জমাটি ডিমের ডালনা। ব্যস, এক থালা ভাত নিমেষে সাফ। কিন্তু সে সুখের দিনও শেষ। বঙ্গের বাজারে ডিমের দর ক্রমেই আম জনতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক পিস ডিম ক’দিন আগেও ছিল সাড়ে চার টাকা। এখন কোথাও ছ’টাকা, কোথাও আর একটু বেশি! এ তো গেল পোলট্রি। দেশি মুরগির ডিম আরও এক টাকা বেশি। এবাজারে হাঁসের ডিমের কথা না ভাবাই ভাল।
সব মিলিয়ে হেঁশেলে বেজায় সঙ্কট। রাতারাতি ডিমের বাজার আগুন হল কেন? ব্যবসায়ী মহলের ব্যাখ্যা, মাছ-মাংসের দামের ছেঁকায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে বহু পরিবার ডিমের দিকে ঝুঁকেছে। ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতনতার দরুন ডিমের কদর বেড়েছে। সব মিলিয়ে চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। যে বাড়িতে সপ্তাহে ৪০টি ডিম আসত সেখানেই এখন আসে ৬০টি। সেই অনুপাতে জোগান নেই। স্থানীয় বাজারে সিংহভাগ ডিম আসে ভিন রাজ্য থেকে। কুয়াশায় ট্রাক চলাচলে বিঘ্নের কারণে সেই সরবরাহে টান ধরেছে। অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই দাম বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পোলট্রি সংগঠনকে। তিনি বলেন “পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিমের দাম আর বৃদ্ধি পেলে কোনও সহযোগিতা করা হবে না। সুযোগ দেবে রাজ্য সরকার আর দাম বাড়াবে অন্য রাজ্য! অন্যায়ভাবে দামবৃদ্ধি মেনে নেব না।”
[আংটি চুরির সন্দেহ, সালিশির নিদানে নগ্ন করে ছাত্রীকে ‘তল্লাশি’]
ওয়েস্টবেঙ্গল পোলট্রি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, “সারা ভারতবর্ষেই ডিমের দাম বাড়ছে। দিনকয়েকের মধ্যেই কমে যাবে। আমরা খুচরো ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি, অতিরিক্ত দাম না নেওয়ার।” রাজ্যে দিনে প্রায় দু’কোটি ত্রিশ লক্ষ ডিম লাগে। তার মধ্যে ৮০—৯০ লক্ষ হাইব্রিড ডিম, ৪০ লক্ষ দেশি মুরগির ডিম এবং ৯০ লক্ষ থেকে এক কোটি ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.