সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগাড় কাণ্ডের জল এবার গড়াল আদালতেও। যে ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যে শোরগোল এবার সে ব্যাপারেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন পরিবেশপ্রমী সুভাষ দত্ত। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন তিনি।
[ ভাগাড় কাণ্ডে এবার পাকড়াও কিংপিন বিশু, তদন্তের জাল গোটাচ্ছে পুলিশ ]
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ থেকে ঘটনার সূত্রপাত। একটি ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস সরাসরি হোটেলে চালান করার অভিযোগ ওঠে। হাতেনাতে পাকড়াও হয় সরবরাহকারীরা। এরপর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে রীতিমতো কেউটে বেরিয়ে পড়ে। দেখা যায়, গোটা রাজ্যে রীতিমতো সক্রিয় ওই চক্র। কাঁকিনাড়া, ট্যাংরার দিকেও খোঁজ মেলে ভাগাড় চক্রের। পচা মাংসই রাসায়নিকের সাহায্যে প্রসেস করে প্যাকেটজাত হয়ে পৌঁছে যেত হোটেলে হোটেলে। শুধু কলকাতা ও শহরতলি নয়, একই কাণ্ডের রেশ পৌঁছেছে শিলিগুড়িতে। পচা মাংসের খোঁজ পেয়ে সেখানে বুধবারই দুটি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে। তল্লাশি চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। আর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তো প্রায়ই অভিযানে ধরা পড়ছে পচা মাংসের ঠেক। এই পরিস্থিতিতেই জনস্বার্থ মামলার দায়েরের পথে হাঁটলেন সুভাষবাবু।
[ মেলেনি পারিশ্রমিক, রাতভর যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ জুনিয়র আর্টিস্টদের ]
তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের অধিকাংশ দোকানেই নথিভুক্ত নয়, অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন নেই। ছোট দোকান থেকে বড় দোকানের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ফুড লাইসেন্সও নেই। এই পরিস্থিতিতে মাথাচাড়া দিয়েছে ভাগাড় কাণ্ড। ফলে ঠক বাছতে গাঁ উজাড়ের অবস্থা। তথ্য দাখিল করে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, গত দু’বছরে যে দোকানগুলির খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, তার অধিকাংশই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালের ফুড সেফটি আইন কঠোরভাবে চালু না করলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক সমস্যায় পড়বে। এদিকে গুজবের জেরে সমস্যায় পড়েছে বেশকিছু রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষও। বেশ কিছু রেস্তরাঁ ভাল মাংস সরবারহ করেও একই বদনাম কুড়িয়েছে। বিক্রিও কমেছে মারাত্মক হারে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি হস্তক্ষেপই চাইছিলেন তাঁরা। মামলা দায়ের হওয়ায় এবার আদালতের নির্দেশমাফিক কাজ করার পথ সুগম হল বলেই মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.