নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: এক ঘণ্টার অনশনেই হাতে পেয়ে গেলেন তিন বছর আটকে থাকা পিএফের বকেয়া। প্রাপ্য টাকা বুঝে পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত সচিবের একটাই প্রশ্ন, দিলেনই যখন তখন বছরের পর বছর এই হয়রানি কেন? যদিও এর সদুত্তর দিতে পারেননি ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। সরকারি দপ্তরে কাজ নিয়ে এসে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মীর হয়রানির খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
[মাকে বাঁশপেটা করে বাড়িছাড়া করল ‘গুণধর’ ছেলে]
ময়নাগুড়ির ভোটপট্টির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব বিমল কৃষ্ণ রায়ের অভিযোগ, তিন বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। সাপ্টিবাড়ি-দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্তব্যরত ছিলেন বিমলবাবু। জানান, অবসরে সরকারি খাতায় জমানো সমস্ত কিছু বুঝে পেলেও পিএফের দশ শতাংশ টাকা আটকে রাখা হয়েছিল তাঁর। যার পরিমান ৯০ হাজার টাকা। এই টাকার জন্য বারবার দরবার করেও না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি অনশনে বসার মতো সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের কথা বিডিওকে লিখিতভাবেও জানান তিনি।
বিমলবাবু জানান, তিনি নিজে অসুস্থ। নিজের চিকিৎসা, সেই সঙ্গে সংসার খরচ টানতে রীতিমতো কাহিল অবস্থা। এই অবস্থায় সোমবার সকাল থেকে বিডিও অফিসে আমরণ অনশন শুরু করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন তিনি। সিদ্ধান্ত মতোই কাজ। এদিন সকাল দশটায় বিমলবাবু অনশন শুরু করতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কর্মী মহলে। ছুটে আসেন বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ। এক ঘণ্টার মধ্যে প্রাপ্য টাকার চেক বিমলবাবুর হাতে তুলে দেন তিনি। বিডিওর বক্তব্য, সামান্য জটিলতার কারণে টাকা আটকে ছিল। এদিন তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্য টাকা বুঝে পেয়ে অনশন প্রত্যাহার করে নেন বিমলকৃষ্ণ রায়।
[রক্ষকই ভক্ষক, চলন্ত ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ জওয়ানের বিরুদ্ধে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.