Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্ধ কারখানা, শিল্পনগরী দুর্গাপুরে ফিকে বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুস

‘কর্মই নেই, তো আবার বিশ্বকর্মা!’

Factory shutdown in Durgapur casts shadow on Bishwakarma Puja
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 17, 2018 11:00 am
  • Updated:September 17, 2018 11:00 am

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বন্ধ হচ্ছে একের পর এক কারখানার ঝাঁপ। অন্ধকারে ডুবছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। সেই জৌলুসও নেই শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা পুজোরও। বরং ‘দেবশিল্পী’র আরাধনা একরাশ মন খারাপ বয়ে আনে বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানার কর্মীদের জন্যে।

[ জেলায় জেলায় বিশ্বকর্মা: বাতিল লোহায় ভ্যানো তৈরি করে দিন গুজরান প্রৌঢ়ের]

Advertisement

দুর্গাপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানার শ্রমিক বুধন বাউড়ি। তাঁর গলাতেও হতাশার সুর। ‘কর্মই নেই, তো আবার বিশ্বকর্মা!’ দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের এক বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানায় বয়লার অপারেটরের কাজ করতেন বুধন৷ ভাল কাজের সুবাদে তাঁর কদরও ছিল খানিক বেশি৷ কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজোর মূল উদ্যোক্তাও ছিলেন৷ পুজোর দিন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হতেন কারখানায়। সারাদিন আনন্দ করে বাড়ি ফিরতেন বিকালে৷ কিন্তু দুই বছর আগের এক সকালে কাজে এসে দেখে কারখানার গেটে ঝুলছে বিরাট মাপের তালা৷ সেই থেকে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বুকটা ভারী হয়ে ওঠে বুধনের৷বুধন বাউড়ি নন, কর্মহারা শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে দুর্গাপুরে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি বড়-ছোট কারখানা৷ সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার হালও ভাল নয়৷ মিশ্র ইস্পাত কারখানার মতো বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন৷ বহু কারখানার উঁচু উঁচু চিমনি বেয়ে উঠেছে লতানে গাছ৷ যে চিমনি দিয়ে এক সময় অর্নগল ধোঁয়া বের হতো সেই চিমনির ভেতরেও আগাছা জন্মেছে৷

Advertisement

শ্রমিক সংগঠনের তরফে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ১২টি বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে৷ এরমধ্যে ছ’টিরও বেশি দুর্গাপুরেই৷ মাইনিং এন্ড অ্যালাইড মেশিনারি কর্পোরেশন, ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেড, হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন ছাড়াও আসানসোলে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্হান কেবলস কিংবা সাইকেল কর্পোরেশনের মতন কারখানা বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে৷ এছাড়াও আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্প শহরে ১৯টি সংগঠিত বেসরকারি সংস্থাও তাঁদের গেট বন্ধ করেছে চিরতরে৷ দুর্গাপুর ও আসানসোলে ২৭টি ছোট বেসরকারি ইস্পাত কারখানাও তাঁদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও ইসিএলের অসংখ্য খনিও বন্ধ৷ সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয় চক্রবর্তী জানান, “শিল্প কারখানা বন্ধ ও কর্মী সংকোচনের জেরে এই জেলায় কাজ হারিয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ শ্রমিক৷ নতুন করে কর্মসংস্থান হয়নি৷ এই আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ নাহলে একদা শিল্পের পীঠস্থান দুর্গাপুর-আসানসোল ধ্বংস হয়ে যাবে৷”

ছবি: উদয়ন গুহ রায়

[ জেলায় জেলায় বিশ্বকর্মা: শিল্পীর হাতযশে ডিমের খোসায় ফুটে উঠছেন মনীষীরা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ