ধীমান রায়, কাটোয়া: রাজনৈতিক মতবিরোধের জের। এক পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পুর্ব বর্ধমানের ভাতারের নিত্যানন্দপুর এলাকায়। বাধ্য হয়ে ভাতার থানার দ্বারস্থ নিগৃহীত পরিবারের সদস্য রসিদা বিবি।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার নিত্যান্দপুর পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা রসিদা বিবি। কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকেন ওই মহিলার স্বামী। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন ওই মহিলার স্বামী মুদস্সর রহমান। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এক নির্দল প্রার্থী। ঘটনার পিছনে মুদস্সরের যোগ রয়েছে বলে অনুমান করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ, সেই থেকে গ্রামে কার্যত একঘরে ওই পরিবার। তাদের চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না, মাছ ধরতে দেওয়া হচ্ছে না এমনকি ওই পরিবার ঘর ছাইতে গেলেও তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আজ সকালে ওই মহিলার ঘর ছাইতে আসেন শ্রমিকেরা। অভিযোগ, সেই সময় শ্রমিকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই ছেলেকে নিয়ে ভাতার দ্বারস্থ হন ওই বধূ।
যদিও শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলের নেতা কর্মীরা। নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনজির আলি ভুট্টো বলেন, ” ওই মহিলাকে মাস ছয়েক আগে ঘরের চাল ছাইতে বলা হয়েছিল। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ঘরের চাল ছাওয়ানোর কাজ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি করেননি। এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নির্বাচনের আগে জটিলতা সৃষ্টি করতে চাইছেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটের পর রসিদা বিবিদের পারিবারিক সমস্যা নিয়ে দলীয় স্তরে সালিশি সভা বসেছিল। তখন রসিদা বিবির স্বামী চাপে পড়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা না রাখাতেই তাদের কার্যত একঘরে করে রেখেছেন গ্রামের বেশ কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। যদিও এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের কারও মতামত জানা যায়নি।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.