মাথার উপর ঘুরছে ফ্যান। আইসক্রিম পার্লারে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: সমতলের অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ বেশিরভাগই পাহাড়ে ছুটে যান। কিন্তু এই মরসুমে সেখানেও অনুভব হচ্ছে বেশ গরম। জুন মাসে শৈলশহরে চলছে এসি। সারাদিনই মাথার উপর ঘুরছে পাখা। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে সিকিমের গ্যাংটক, উলটপুরাণের একই ছবি।
মৌসুমি বায়ু হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ায় সোমবার থেকে উত্তরের পাহাড়-সমতল প্রবল উত্তাপে কার্যত পুড়ছে! একই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে পাহাড়েও। সিকিমের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। শৈলশহর দার্জিলিংয়েও গরম বাড়ছে। তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। শহর থেকে সামান্য দূরে বিজনবাড়ি অথবা কার্শিয়াংয়ে তাপমাত্রা আরও বেশি। পাহাড়ে আইসক্রিমের চাহিদা খুব একটা থাকে না। কিন্তু ক্রমশ গরম বাড়তে পরিস্থিতি পাল্টেছে। দেদার বিকোচ্ছে আইসক্রিম। সমতলের মতো সেখানেও গরমে কাহিল স্বাভাবিক জনজীবন। অনেকটাই ফাঁকা রাস্তাঘাট।
সোমবার থেকে উত্তরের সমতলের গ্রাম-শহরে গুমোট গরমের দাপটে রাতের ঘুম উবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গরম থেকে বাঁচতে দিনে রাস্তায় বেশিক্ষণ না থাকতে। অবশ্যই রাখতে হবে টুপি অথবা ছাতা এবং জলের বোতল। টুপি, ছাতা না থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেই চলাফেরা করতে হবে। আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই সময় বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের ৩০ মিনিটের বেশি সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকা উচিত নয়।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা নামবে না। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হলেও হতে পারে।” যদিও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কয়েকদিন নেই উত্তরের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পংয়ে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গ্যাংটকে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের সমতলে শিলিগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়ি ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহারে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.