ফাইল ছবি
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সীমান্ত এলাকাও উত্তপ্ত। কাঁটাতার বসাতে গিয়ে বারবার সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বিএসএফকে। এরই মধ্যে দিন দুয়েক আগে নদিয়ার চাপড়া থানার বেতবেড়িয়ায় কাঁটাতারের ওপারে জমিতে কাজ করতে গেলে এক ভারতীয় কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি।
সোনা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর থেকে তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন ভারতীয় চাষিরা। কাঁটাতারের ওপারে চাষ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন তেহট্টের চাষিরা। সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় চাপড়ার ঘটনার পর সবাই একত্রিত হয়ে কাজে যাচ্ছেন। যদিও সীমান্তরক্ষী বাহিনী চাষিদের আশ্বাস দিয়েছে। চাষিদের আতঙ্কের কথা জানতে পেরে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। স্থানীয় চাষিদের থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শুরু হতেই জমির গম, সর্ষে-সহ অন্যান্য ফসল পশুখাদ্য হিসাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। সেগুলি দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ভারতীয় চাষিদের।
তারপর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়িতে ফসল ঘরে তোলার আশা করেছিলেন সীমান্তের চাষিরা। আবার চাপড়ার ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জনাকয়েক চাষির কথায়, “কাঁটাতারের বেড়া থাকার কারণে আমরা যেমন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছি, তেমনই কাঁটাতারের ভিতরে জমিতে যেতে হলে অনেক বিধিনিষেধ মেনে নির্দিষ্ট সময় যাতায়াত করতে হয়। ফলে কাঁটাতারের ওপারে আমাদের তুলে নিয়ে গেলেও কিছু করার থাকবে না। আমরা জানতাম বাংলাদেশের থেকে সোনা পাচার করা হয় ভারতে। এই প্রথম শুনতে পেলাম ভারত থেকে সোনা পাচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে।”
তাঁরা আরও বলেন, “এখন ভয়ে ভয়ে ওপারের জমিতে চাষ করতে যচ্ছি। আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পাচারকারী বলে গ্রেপ্তার করে নিতে পারে।” এক বিএসএফ আধিকারিকের কথায়, “কাঁটাতারের ভিতরে, বাইরে–দু’দিকেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কাঁটাতারের ভিতর দিয়ে যে সমস্ত চাষিরা চাষের কাজে যান, সেই সমস্ত চাষিদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমরা সব সময় নজর রাখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.