অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: মায়ের মৃত্যু হয়েছে বছরখানেক। বর্তমানে বাবা-ছেলের সংসার। শনিবার সকালে সেই বাবা-ছেলেরই রহস্যমৃত্যু। বাড়ির অদূরে রাস্তা লাগোয়া পুকুরের পাশে একটি গাছ থেকে বাবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর সে খবর কানে যেতেই বাড়িতে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় ছেলের। হাওড়ার বেলুড়ের ঠাকুরন পুকুর এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দু’জনে, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
নিহত বছর পঁচাত্তরের সুভাষ পাল। ছেলে অজিত পাল, আটত্রিশ বছর বয়সি। তাঁরা দীর্ঘদিন হাওড়ার বেলুড়ের ঠাকুরন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার সকালে স্থানীয়রা প্রাতঃভ্রমণে বেরন। তাঁরা দেখেন, পুকুরের ধারে একটি গাছে কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বৃদ্ধ সুভাষ পালকে দেখতে পান। সে খবর তাঁর ছেলে অজিতকে দেওয়া হয়। তা শুনে সোজা ঘরে যান। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন অজিত। হাজার ধাক্কাধাক্কিতেও দরজা খোলেননি। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন, গামছার ফাঁস গলায় লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন অজিত।
বেলুড় থানার পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে। জয়সওয়াল হাসপাতালে তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অজিত বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। তাঁর মায়ের বছরখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়। দানা বেঁধেছে রহস্য। দু’জনের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল বলেই জানান প্রতিবেশীরা। সে কারণে মৃত্যু নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু, তা এখনও জানা যায়নি। বেলুড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.