Advertisement
Advertisement
erosion

হাওড়ার চিতনানে ভাঙল রূপনারায়ণ নদের রিং বাঁধের একাংশ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

fear among villagers for river erosion at Chitnan in howrah
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 20, 2020 7:22 pm
  • Updated:June 20, 2020 7:22 pm

মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: জোয়ারের তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেল রূপনারায়ণ নদের উত্তর দিকের রিং বাঁধ ও পাড়ের প্রায় ৫০ ফুট অংশ। শুক্রবার রাতে জোয়ারের তোড়ে হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের চিতনান (Chitnan) এলাকার প্রায় ৫০ ফুট রিং বাঁধ ও নদীর পাড় নদীগর্ভে চলে যায়। এর ফলে প্লাবিত হল বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি। তাই আগামী বর্ষায় ও বন্যার সময় বিপদের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে চিতনান এলাকার বহু মানুষ।

ring-bandh
হাওড়ার একদম শেষপ্রান্তে রয়েছে এই দ্বীপ। এর মধ্যে রয়েছে ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েত। চারিদিক রূপনারায়ণ ও মুন্ডেশ্বরী নদী দ্বারা বেষ্টিত। বিভিন্ন সময়ই এখানে নদীর পাড় ভাঙে। আমফান ঝড়ের সময় রূপনারায়ণের নদের চিতনান এলাকার বেশ কিছুটা পাড় ও বাঁধে ফাটল ধরেছিল। তারপর জোয়ারের তোড়ে ধীরে ধীরে সেই বাঁধ ভাঙছিল। শুক্রবার রাতে কোটালের পরে চিতনান দক্ষিণ পাড়ার কাছে নদী বাঁধের প্রায় ৫০ ফুটের বেশি অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে হু হু করে জল ঢুকেছে এলাকায়। শনিবার দুপুরে দেখা গেল জোয়ারের জল নেমে গিয়েছে। কিন্তু, বাঁধ ভেঙে যাওয়া ফলে সামান্য জোয়ারেও ওই এলাকায় জল ঢুকে যাবে। এতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, এখনও পুরো বর্ষাকাল রয়েছে। এই সময় নদীর পাড়ের বিরাট অংশ ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘একুশে সব হিসাব চুকিয়ে দেব’, দাঁতনে বিজেপি কর্মী খুনে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]

ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ওই এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার সামন্ত বলেন, এসময় নদীর তীরে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করেন চাষীরা। পটল, ঝিঙে ও উচ্ছে থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে জীবনধারণ করেন। কিন্তু, বারবার বন্যার জল এলাকায় ঢুকে গেলে সেই চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক সইদুল ইসলাম বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি।

Advertisement

ring-bandh

ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকার সদস্য বাপি মল্লিক বলেন, প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বিঘা জমিতে জল ঢুকছে। ফলে স্থানীয় লোকেদের আশঙ্কা, সামান্য জোয়ারের জলে মাছ চাষ করা হয়েছে এমন পুকুরও জলে ডুবে যেতে পারে। ফলে মাছচাষিরাও সামান্য জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আরও জানা গিয়েছে, বাঁধে ঢালাই রাস্তা করার জন্য ইট পাতা হয়েছিল। সেসব চলে গেছে নদীগর্ভে। পরিস্থিতি দেখতে শনিবার ওই এলাকায় আসেন পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন ও আমতা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল। তাঁরা বলেন, সেচ দপ্তরকে বিষয়টা জানানো হয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করবে। তবে ভাঙন (erosion) আটকাতে বড় ধরনের পরিকল্পনা করতে হবে।

[আরও পড়ুন: সর্ষের মধ্যেই ভূত! জেলের বন্দিদের মাদক পাচার করছে খোদ ওয়ার্ডেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ