Advertisement
Advertisement

বাণীবন্দনা হবে ‘দিদিমণি’দের হাত ধরেই, জলপাইগুড়ির স্কুলের অগ্রণী পদক্ষেপ

স্কুলের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে সরস্বতী পুজো করবেন মহিলারাই।

Female teacher performes as Priest
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 10, 2019 7:31 pm
  • Updated:February 10, 2019 7:31 pm

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: শিলিগুড়িতে ছাত্রীর হাতে বিদ্যার দেবীর পূজা শনিবারই তাক লাগিয়েছে সকলকে। এবার ছাত্রীর পথ ধরে একই ভূমিকায় দেখা গেল শিক্ষিকাকে। জলপাইগুড়ির কোনাপাকুড়ি বিবেকানন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরস্বতী বন্দনায় পুরোহিতের আসনে বসলেন শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তী অধিকারী। একেবারে আচার মেনে, নিয়মনিষ্ঠা সহকারে হল বাগদেবীর আরাধনা। দিদিমণির পুজো দেখতে যথারীতি পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।

পরপর ৮ চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি, প্রতিজ্ঞা পূরণ করে দাড়ি কামাতে রাজি বনকর্তা

Advertisement

কোনাপাকুড়ি বিবেকানন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চুক্তির ভিত্তিতে পড়ান শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তী। তাঁর স্বামী বিপ্লব অধিকারী পেশাগতভাবে পুরোহিত। স্বামীর কাছ থেকেই জয়া শাস্ত্রের পাঠ নিয়েছেন। জেনেছেন, প্রত্যেক দেবদেবীর আলাদা আলাদা পূজার ধরন। পূজার্চনার আয়োজন, মন্ত্রোচ্চারণের পাশাপাশি খুঁটিনাটি সব শিখে নিয়েছেন স্বামীর সঙ্গে সংস্পর্শে থেকে। এবার ছিল সেসব জ্ঞান হাতেকলমে প্রয়োগের পালা। বিদ্যার দেবীর পুজোর তিথিতে হয়ে গেল তারই পরীক্ষা। রবিবার স্কুলে সরস্বতী মূর্তির পায়ের কাছে রাখা আসনটি আলো করে বসলেন শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তী। প্রথম কাজ তো, যদি কোনও ভুলভ্রান্তি হয়, সেই আশঙ্কায় খাতায় পুজোর মন্ত্র লিখে এনেছিলেন। তা দেখেই চলল পূজাপাঠ। সবশেষে অঞ্জলি, আরতি, হোম, যজ্ঞ – সব পর্বই শেষ হল একে একে, নির্বিঘ্নে। পুজোশেষে শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, ‘স্বামী বিপ্লব অধিকারী পুরোহিত। তাঁর কাছ থেকেই পুজোর শিক্ষা নিয়েছি। প্রায় দু ঘণ্টা সময় লাগল এদিন পুজো করতে। হোমের জন্য অবশ্য বাড়তি সময় লেগেছে। প্রথমবার পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে খুব ভাল লাগল, অন্যরকম অভিজ্ঞতা।’

Advertisement

বেআইনি মদের ঠেকের প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মার খেলেন যুবক

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকারের কথায়, ‘মেয়েরা সবদিক থেকেই এগিয়ে চলেছে। কেন তাহলে পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করবেন না? বাড়িতে লক্ষ্মী বা সরস্বতী পুজোয় আয়োজনের দায়িত্ব তো মেয়েদের উপরেই পড়ে। তাহলে পুজো কেন করতে পারবেন না?’ কিন্তু মহিলাদের পুরোহিতের ভূমিকা পালন করাটা কতটা শাস্ত্রসম্মত, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এসব বিতর্কে অবশ্য যেতে চান না প্রধান শিক্ষিকা। তিনি বলছেন, ‘আমরা প্রথা ভাঙতে পেরে খুশি। কোনও অংশে কম নন মহিলারা। পুজো দেখতে গ্রামের বাসিন্দারাও ভিড় করেছিলেন। এখন থেকে বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোয় আমাদের দিদিমণিরাই পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করবেন।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ