অর্ণব আইচ: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার দেখে বরং কিছুটা খুশিই হয়েছিলেন নৌসেনার আধিকারিকরা। একটু বেলা পড়তেই গভীর সমুদ্র থেকে মেরিন হাউজে বার্তা পাঠিয়ে যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস কদমত’-এর নৌসেনা আধিকারিকরা জানালেন, বৃষ্টি পড়তে শুরু করছে। বৃষ্টির ফোঁটা সরাসরি পড়ছে ‘এসএসএল কলকাতা’র উপর। আগুন তাতে কিছুটা আয়ত্তে এসেছে।
[শাসকদলকে ভোট না দেওয়ার মাশুল! ইদে নমাজ পড়তে পারল না ৭টি মুসলিম পরিবার]
বৃষ্টি থামতেই বিকেলে দূর থেকে হেলিকপ্টারের শব্দ। যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস কদমত’-এর মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল বায়ুসেনার ‘এমআই ১৭ ভি৫’ হেলিকপ্টার। অগ্নিদগ্ধ ‘এসএসএল কলকাতা’ ঘিরে কয়েকটি চক্কর দিয়ে সেটি দাঁড়াল জাহাজটির উপর। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে প্রচণ্ড বেগে ঝরে পড়তে লাগল জল। নেহাত কম নয়। মোট ১৫ হাজার লিটার। এই জলই কিছুক্ষণের মধ্যে আয়ত্তে আনল প্রায় চার দিন ধরে বঙ্গাপসাগরের বুকে জ্বলতে থাকা জাহাজের আগুন। এক বায়ুসেনা কর্তার কথায়, ‘বাম্বি বাকেট’ নামে এই জল ঢালার বিশেষ পদ্ধতিতে হেলিকপ্টার থেকে জঙ্গলের দাবানল নেভায় বায়ুসেনা। একই পদ্ধতিতে এবার আয়ত্তে এল জাহাজের আগুন।
রবিবার এই রাজ্যের নৌসেনা কর্তা সুপ্রভকুমার দে জানান, নৌসেনার যুদ্ধজাহাজও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। নৌসেনার সূত্র জানিয়েছে, এবার জাহাজটিকে উপকূলের দিকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এদিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আইজি কুলদীপ সিং শেওরান জানান, আগুন আয়ত্তে এলেও দূষণের উপর নজর দেওয়া হচ্ছে।
এদিন কলকাতা থেকে ডর্নিয়ার বিমান ঘটনাস্থলে যায়। বিমান থেকে জাহাজটির অবস্থান ও সেটি থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি টহলদারি জলযানও অগ্নিদগ্ধ জাহাজটির কাছে রয়েছে। শনিবার মেরিন কমান্ডো ‘মার্কোস’ টিম অপারেশন চালানোর সময় চেষ্টা করেছিল অগ্নিদগ্ধ জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে সেটিকে আরও গভীর সমুদ্রে নিয়ে যেতে। কিন্তু বাধ সেধেছিল জাহাজের ভিতর পরপর চারটি বিস্ফোরণ। এর পর জাহাজটিকে না সরিয়ে সেটি নোঙর করা হয়, যাতে তা বাংলাদেশের দিকে না যায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে করেই হোক তাড়াতাড়ি আগুন নেভাতে হবে।
[মেনুতে ফুটবলের ছোঁয়া, শিলিগুড়ির রেস্তরাঁয় হিট মেসি মকটেল, রোনাল্ডো’স চিকেন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.