Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maldah

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে ‘মারমুখী’ প্রথম স্ত্রী, যুবককে নিয়ে দু’পক্ষের টানাটানি, তারপর…

স্বামীর অধিকার ছাড়তে নারাজ দু'পক্ষই।

First wife rushed to the house of in laws after hearing the news of second marriage of her husband | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 29, 2022 6:09 pm
  • Updated:October 29, 2022 10:04 pm

বাবুল হক, মালদা: ঘরের ভিতর নববধূ, আর দরজার বাইরে মেয়ে কোলে দাঁড়িয়ে পুরনো বউ৷ স্বামী কার, তা নিয়ে শুরু দুই বউয়ের কথা কাটাকাটি৷ একসময় স্বামীর দু’হাত ধরে দুই বউয়ের টানাহ্যাঁচড়াও শুরু হয়ে যায়৷ নাটকের টানটান দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে দেখা যায় পড়শিদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী পুরাতন মালদহের (Maldah) খয়রাতি পাড়ার বাসিন্দারা৷ শেষপর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ ঘটনা নিয়ে এখনও আলোচনায় মশগুল এলাকাবাসী৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাতি পাড়ার বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ বিহারের (Bihar) কাটিহারে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন৷ বেশ কয়েক বছর আগে পাড়ারই যুবতী টিনা বিবির সঙ্গে তাঁর বিয়ে (Marriage) হয়েছিল৷ তাঁদের একটি মেয়ে আছে। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে চার বছর ধরে টিনা বিবি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না৷ মেয়ে নিয়ে তিনি বাপের বাড়িতেই থাকেন৷ বিভিন্ন কারণে তিনি স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছেন৷ সব মামলা বর্তমানে বিচারাধীন৷ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইব্রাহিম ও টিনার মধ্যে আইনত ডিভোর্স (Divorce) হয়নি৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশেষ কারণে নবান্নে আসছেন না অমিত শাহ, স্থগিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক]

এরই মধ্যে ইব্রাহিম কাটিহারে কাজ করতে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দা সাহেরা খাতুনকে শরিয়ত (Sharia) মতে বিয়ে করেন। এরপর নিজের পৈতৃক বাড়ি পুরাতন মালদহের খয়রাতি পাড়ায় নিয়ে আসেন নববধূকে৷ তারপরই ঝামেলার শুরু৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিবাহবিচ্ছেদ না হতেই স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরে বউ আনার খবর পেয়েই মেয়ে কোলে সেখানে চলে আসেন টিনা৷ চার বছর ধরে স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির সংস্রব না থাকলেও টিনা স্বামীর উপর নিজের অধিকার রাখতে কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন৷ সব দেখেশুনে ঘাবড়ে যান নতুন বউ সাহেদাও৷ তিনিও স্বামীর অধিকার ছাড়তে নারাজ৷ এনিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায় সেখানে৷ প্রতিবাশীরাই খবর দেন মালদহ থানায়৷ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ দু’পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়৷ টিনাকেও সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা৷ এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা! রাষ্ট্রসংঘে সতর্ক করলেন বিদেশমন্ত্রী]

টিনার বক্তব্য, “আমার একটা মেয়ে রয়েছে৷ স্বামীর সঙ্গে আইনগত বিবাহবিচ্ছেদও হয়নি৷ এরই মধ্যে ও দ্বিতীয় বিয়ে করে বউ নিয়ে ঘরে তুলেছে৷ আমি মেয়ে নিয়ে এখন কোথায় যাব? খবর পেয়ে আমি বাড়িতে ঢুকেছিলাম৷ আমার শ্বশুর বাধা দেয়৷ আর ননদ আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ সম্প্রতি স্বামী আমার সঙ্গে হাসপাতালে দু’রাত থেকেছে৷ আমার কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে৷ খোরপোশের দাবিতে আমি আদালতে মামলা করেছি৷ সেই মামলা বিচারাধীন৷ ওরা একমাস সময় চেয়েছে৷ তারমধ্যেই স্বামী আরেকটা বিয়ে করেছে৷ আমি চাই, আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হোক৷ আর ওর দ্বিতীয় বউকেও ওকে ডিভোর্স দিতে হবে৷ আমি বারবার বলেছি, আমি ওর সঙ্গে সংসার করব৷ কিন্তু ওরা আমার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেছে৷ আমি কিছু জানি না৷ স্বামীকে গ্রেফতার করে আমার সঙ্গে সংসার করতে বাধ্য করাতে হবে পুলিশকে৷”

এদিকে সাহেরা জানান, “ও আমাকে বলেছিল, ওর বিয়ে হয়েছে৷ একটা বাচ্চাও আছে৷ প্রথম বউকে তালাক দিয়েছে৷ তারপরেই আমি ওকে বিয়ে করি৷ ওর প্রথম বউ চার বছর ধরে স্বামীর ঘরে থাকে না৷ আমাকে বিয়ে করে এই ঘরে আনা হয়েছে৷ আমি স্বামীর সঙ্গে এই বাড়িতেই সংসার করব৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ