নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পাড়ুই আদিবাসী গণধর্ষণ কাণ্ডে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সোনা মুর্মু৷ তবে, মাথার খোঁজে কান টানতে মূল অভিযুক্তের পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে সিউড়ি আদালতে পেশ করেছে পুলিশ৷ ধৃতরা প্রত্যেকেই অপরাধের কথা পুলিশের স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ আজ, ধৃতদের সিউড়ির বিশেষ আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের দাবি জানান পুলিশ৷ কিন্তু নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ার কারণে তাই বিচারক সুপ্রিয়া খান ধৃতদের এক দিনের জেলা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ সোমবার নাবালিকাকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
[যাত্রী সেজে গাড়ি লুটের চেষ্টা, বর্ধমান যাওয়ার পথে চালককে খুন ৪ দুষ্কৃতীর]
গত শুক্রবার মহুলারা গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকা পাশের গ্রামের বিয়েবাড়ি থেকে ভোজ খেয়ে গ্রামে ফিরছিল। গ্রামে ঢোকার মুখে সোনা মুর্মু তার সাইকেল আটকায়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিৎকার করে নির্যাতিতা৷ মুহূর্তেই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে ক্যানেলের পাড়ে নিয়ে যায় ১০-১২ জনের একটি দুষ্কৃতী দল৷ সেখানেই চলে লাগাতার ধর্ষণ৷
[শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি থেকে উদ্ধার ১০ কেজি চোরাই সোনা, গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী]
রাত বেড়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক খোঁজ শুরু করেন। পুলিশের সহায়তায় ক্যানেলের পার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিশোরীর দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গল সোরেন, অমিত সোরেন, জীবন মুর্মু, অকুল সোরেন, রবি মুর্মু এই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা সকলেই শুক্রবার রাতে কিশোরীর ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করে। তারা সকলেই কিশোরীর গ্রাম মহুলারার বাসিন্দা।
শুক্রবারের এই ঘটনায় কিশোরীটির এখনও আতঙ্কগ্রস্ত থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। তবে, পকসো আইনে মামলা হলেও ধৃতরা সকলেই সাবালক৷ সবচেয়ে কমবয়সী যুবক ২২ বছরের৷ এদিকে নির্যাতিতা ওই আদিবাসী নাবালিকার সঙ্গে দেখা করতে রাজ্য বিজেপির মহিলা শাখার একটি প্রতিনিধি দল বোলপুর হাসপাতালে যায়৷ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে৷