ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। নিজস্ব চিত্র
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: চার মেয়েকে নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ ফিরছিলেন বাবা। মেয়েরা আবার ভারতের নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিব্যি এদেশে থাকছিলেনও! কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। সীমান্ত পেরনোর আগেই তাঁদের গ্রেপ্তার করল বনগাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার মেয়ের নাম আসমা মৃধা, পুন্নি মৃধা, রিয়া মৃধা ও আলিজা কুরেসি। তাঁরা বছর কয়েক আগেই বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তারপর দিল্লিতে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই থাকছিলেন। ভারতের পরিচয়পত্রও বানিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। চার বোনের মধ্যে একজন বিয়ে করেছেন। তাঁর আবার এক সন্তানও আছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহ উত্তপ্ত। হিন্দু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও চাপ বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের। এদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারও করছে পুলিশ। এদিকে সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যেও বেড়া দেওয়া নিয়ে মালদহ, কোচবিহারে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেই আবহে বাংলাদেশ থেকে দিন কয়েক আগে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন নান্নু মৃধা। দিল্লি থেকে মেয়েদের বনগাঁয় নিয়ে আসেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল মেয়েদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ফের বাংলাদেশে যাওয়া।
আজ শনিবার সকালে ওই পাঁচজনকে বনগাঁ বাগদা সড়কের পাশে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বনগাঁ থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের জেরা করতে শুরু করে। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। যে সব পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিও নকল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এরপরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নান্নু মৃধা জেরার স্বীকার করেন, তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানা এলাকায়। তিনি মেয়েদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চোরাপথে এদেশে এসেছিলেন। পুলিশ তাঁদের কথার সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লিতে ওই চার তরুণী কোথায় থাকতেন? সেইসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.