অর্ণব আইচ: সল্টেলেকের গেস্ট হাউসে মধুচক্র। সিআইডি অভিযানে উদ্ধার করা হয় নাবালিকা-সহ ৬ জনকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ও এক মহিলা-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। মামলা দায়ের বিধাননগর পূর্ব থানায়।
[শহরে গ্রেপ্তার কুখ্যাত মাদক পাচারকারী, উদ্ধার ২ কেজি চরস ]
এ শহরে দেহ ব্যবসা এখন আর নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই। অভিজাত এলাকাতেও রমরমিয়ে মধুচক্রের কারবার চলছে বলে অভিযোগ। প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে অসৎ পথে পা বাড়াচ্ছেন তরুণীরা। কাজে লাগানো হচ্ছে নাবালিকাদেরও। আর সল্টেলেকে তো গেস্ট হাউসের অভাব নেই। সেক্টর টু-এর গ্রিন শেল্টার গেস্ট হাউসে মধুচক্রের সন্ধান পেলেন সিআইডি আধিকারিকরা। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গেস্ট হাউসে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান গেস্ট হাউসের ম্যানেজার, এক মহিলা নারী পাচারকারী-সহ ছয় জন। উদ্ধার করা হয়েছে দু’জন নাবালিকা-সহ ছয় জনকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সল্টেলেকের গ্রিন শেল্টার গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সন্দীপ মিশ্র। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। অপর দুই অভিযুক্ত রাজু দাস ও তুহিন বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার বাসিন্দা। বাকি তিনজন উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম, বারাসত ও পূর্ব বর্ধমানের।
দিন কয়েক আগেই কলকাতা ও বাগুইআটির পাঁচটি ম্যাসাজ পার্লারে মধুচক্রের পর্দাফাঁস করেন লালবাজারে গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে ৫৪ জন। ধৃতদের মধ্যে ৩৬ জন মহিলা। তাদের কেউ যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করত, কেউ আবার ছিল মধুচক্র বা ম্যাসাজ পার্লারের মালিক বা মালকিন। বিভিন্ন বয়সের এইসব যৌনকর্মীরা মূলত শহর ও শহরতলির বাসিন্দা।
[বোধনের আগেই বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু পাহাড় থেকে সমতল, উন্মাদনা তিলোত্তমায়]