Advertisement
Advertisement

Breaking News

হরিশ্চন্দ্রপুরে এখনও পুকুর কাটছেন আড়াই বছর আগে মৃত ব্যক্তি!

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির পর্দাফাঁস।

‘Ghost labourer’ tracked in MGNREGS scheme
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 9, 2018 5:19 am
  • Updated:January 9, 2018 5:24 am

বাবুল হক, মালদহ: আড়াই বছর মারা গিয়েছেন। অথচ দিব্যি একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করে চলেছেন তিনি! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। না ভূত নয়, আসলে এর পিছনে রয়েছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির গল্প। একশো দিনের কাজ থেকে বনসৃজন প্রকল্প, পুকুর খনন বা সংস্কার না করেই বিল তুলে নেওয়া। এছাড়াও চার হাজারের বেশি ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডার তৈরি করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চলছে ভয়ানক দুর্নীত। যার বহর দেখে তাজ্জব প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। অন্তত কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। আর তাই মালিওর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান ও দু’জন সরকারি কর্মচারী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন।

[বিয়েতে নারাজ পরিবার, মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন যুবক!]

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে চার হাজারের বেশি ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডার তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক ভুয়ো প্রকল্প তৈরি করেও টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের একটি সূত্রে দাবি, তদন্তে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি ফাঁস হয়েছে। এরপরই প্রধান-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার পুলিশের কাছে দুর্নীতির যাবতীয় নথিপত্র বিডিওর দপ্তরের তরফে পেশ করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র দাস বলেন, “দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা সমস্ত নথিও পুলিশকে দিয়েছি। এবার পুলিশ আইন অনুসারে পদক্ষেপ করবে।” বিডিও জানান, ২০১৬ সালে ওই পঞ্চায়েতে একশো দিনের প্রকল্পের কাজে অন্তত ৪৩১৬টি ভুয়া জবকার্ড তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পঞ্চায়েতের মাস্টাররোল প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। ১৯৮৮ সালে মৃত্যু ঘটেছে, এমন ব্যক্তিও ২০১৬ সালে মাটি কেটে টাকা পেয়েছেন বলে মাস্টাররোলে দেখানো হয়েছে। তদন্তে সেগুলির প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কংগ্রেসের প্রধান ছাড়াও রয়েছেন দুই নির্মাণ সহায়ক মিল্টন রায় ও সন্তোষ গুপ্ত। বাকি দু’জন একশো দিনের প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত সুপারভাইজার আব্দুল বারিক ও নুরুল ইসলাম।

Advertisement

[সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেই ভাবছেন নিশ্চিন্ত? নির্ভাবনার দিন শেষ]

যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত কংগ্রেস প্রধান মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “সবকিছুই চক্রান্ত। আইনি পথেই মোকাবিলা করব।” চাঁচোল মহকুমার এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রধান-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

Advertisement

[বিয়েতে নারাজ পরিবার, মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন যুবক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ