শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সৎমাকে খুন করে বাড়িতে দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির জমিদার পাড়া এলাকায় জোর চাঞ্চল্য।
অভিযুক্ত পিঙ্কি মাঝি, জলপাইগুড়ির জমিদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। সে পরিচারিকার কাজ করত। সৎমা লক্ষ্মী মাঝির সঙ্গে থাকত সে। স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্মীকে দেখতে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। তার ফলে সন্দেহ দানা বাঁধে। দিনের বেশিরভাগ সময় কাজে বাইরে থাকে পিঙ্কি। তার গতিবিধি দেখেও সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
[আরও পড়ুন: ‘আমায় শেষ করতে চায় শুভেন্দু’, বিস্ফোরক লক্ষ্ণণ শেঠ, কী প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের?]
অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে পিঙ্কির বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরয়। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা ওই মহিলার সৎ মেয়ে পিঙ্কিকে মায়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়। কথায় মেলে হাজারও অসংগতি। দুর্গন্ধের সূত্র ধরে মাটি খোঁড়া হয়। তাতেই সামনে আসে মরদেহ।
পিঙ্কি মাঝির দাবি, তার সৎমার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কোনও উপায় না পেয়ে মাটি খুঁড়ে নিজেই কবর দিয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিযুক্ত সৎ মেয়ে পিঙ্কি মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ। খুন নাকি পিঙ্কির দাবিই আসল, তা তদন্ত শুরু করে দেখছে পুলিশ।