পুলিশের গুলিতে খতম সাজ্জাক আলম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে মৃত্যু গোয়ালপোখরের ফেরার বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ৩ রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর তাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। বলে রাখা ভালো, গত বুধবার দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সে। তারপর থেকে গা ঢাকা দেয়।
শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, সাজ্জাক গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই মতো তড়িঘড়ি ওই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। তা বুঝে যায় সাজ্জাক। কিচকতলা ব্রিজের কাছে পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পালটা সাজ্জাকও পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় সাজ্জাককে আটকাতে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই জখম হয় সে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সাজ্জাকের।
উল্লেখ্য, সাজ্জাক আলম, কালিয়াচকে পোলট্রি ফার্মের মালিক খুনে অভিযুক্ত। রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি ছিল। গত বুধবার ইসলামপুর আদালতে শুনানিতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে করে রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে। গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে শৌচকর্ম করবে বলে জানায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামে। অভিযোগ, প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এরপর একটি বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সাজ্জাকের ২ লক্ষ টাকা মাথার দাম ধার্য করে। বৃহস্পতিবার জখম দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে যান খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজ্জাককে গ্রেপ্তার করতে হবে বলেই নির্দেশ দেন। পুলিশের উপর গুলি চালালে পালটা তার ৪ গুণ গুলি চালানো হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডিজি। তার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের এনকাউন্টারে খতম সাজ্জাক। তাকে পালাতে সাহায্যকারী আবাল এখনও ফেরার। যদিও আবালের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.