সুব্রত বিশ্বাস: চিকিৎসকের উদাসীনতায় ট্রেনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বোমাতঙ্ক। এই আতঙ্কই সুরক্ষা কবচ হয়ে দাঁড়াল চিকিৎসকের কপালে। যাত্রীরা ভয়ে চিকিৎসকের ফেলে যাওয়া ব্যাগ ছুঁয়েও দেখলো না। গেদে পৌঁছনোর পর পুলিশ ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে উদ্ধার করল দু’টি সোনার হার, দুল, আংটি, সোনায় মোড়া শাখা, পলা, স্মার্টফোন-সহ নানা জিনিস। রেল পুলিশের দাবি, ৭ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সামগ্রী ব্যাগে ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে রেল পুলিশ জানিয়েছে, মাথাভাঙা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবীর বাগ ও স্ত্রী সীমা বিশ্বাস নবমীর দুপুর নৈহাটি থেকে গেদে লোকাল ধরে চাকদহের বাড়িতে ফিরছিলেন। ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় তারা ভেণ্ডার কামরাতে উঠতে বাধ্য হন। চাকদহ স্টেশন আসার পর দু’জনই নেমে যান। ভুলে যান সঙ্গে থাকা ব্যাগটি নিতে। তার মধ্যেই ছিল মূল্যবান সব সামগ্রী। পরে যাত্রীরা দেখেন ব্যাগের মালিক নেই। ট্রেনেই রয়েছে ব্যাগটি।
পুজোর মধ্যে নাশকতার ছকে কেউ তা রেখেছে। এই ভেবে হইচই শুরু করেন যাত্রীরা। আতঙ্কে অনেকেই সেই কামরা থেকে অন্য কামরায় চলে যান। গেদে পৌঁছনোর পর যাত্রীদের কথামতো ব্যাগটি নামিয়ে নেয় পুলিশ। ব্যাগটি খুলে রেল পুলিশ দেখতে পায়, একশো গ্রামের উপরে ওজনের সোনার অলংকার, দামি ঘড়ি-সহ অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে।
এদিকে, হারানো ব্যাগের কথা মনে পড়তেই ছোটাছুটি শুরু করেন ডাক্তার বাগ ও তার স্ত্রী সীমা বিশ্বাস। কোচবিহার মাথাভাঙা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবীর বাগ, স্ত্রী কালনা হাসপাতালের নার্স। দু’জনে নবমীর দিন সকালে কাটোয়া লোকাল ব্যান্ডেল সেখান থেমে নৈহাটি হয়ে গেদে লোকালে চড়েন। ভিড় থাকায় ভেন্ডারেই চড়েন তারা। সেখানেই ফেলে যান ব্যাগটি। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে রানাঘাট জিআরপি তাদের সব মাল উদ্ধার করে ব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানান রেল পুলিশের (গেদে) ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত। পুজোয় খোওয়া যাওয়া জিনিস ফিরে পেয়ে আনন্দিত চিকিৎসক দম্পতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.