দেবব্রত দাস, খাতড়া: প্রাথমিক স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত স্কুল চত্বরেই অভিযুক্ত শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে বেধড়ক মারধর করলেন অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাসে।
[আরও পড়ুন: মেলেনি ধান বিক্রির টাকা, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেলাশাসককে চিঠি কৃষকের]
বাঁকুড়ার ইন্দাস প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। সরকারি এই স্কুলে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করছেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। অভিভাবকদের দাবি, প্রতিদিন টিফিনের সময়ে ক্লাসে ডেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ওই শিক্ষক। প্রধান শিক্ষিকাকে ঘটনাটি জানানো হলেও, তিনি কোনও গুরত্ব দেননি। মঙ্গলবারও যথারীতি স্কুলে একই কাণ্ড ঘটান ফিরোজ।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সেদিন টিফিনের সময়ে ফের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসে ডেকে পাঠান ইন্দাস প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ খান। ফাঁকা ক্লাসরুমে তাকে জামা-প্যান্ট খুলতে বলা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায় সে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল সাহার কাছে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ জানান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, লিখিত অভিযোগ নিয়ে বুধবার স্কুলের আসতে বলেন প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু এবার আর অভিযোগ জানানো নয়, স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজ খানকে রীতিমতো অর্ধনগ্ন করে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ইন্দাস প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যায় পুলিশ। কোনওমতে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল সাহার দাবি, তাঁর কাছে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন এক অভিভাবক। তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তা করা হয়নি, উলটে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিভাবকরাই। তাই এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজ খানের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও: