Advertisement
Advertisement

রাতভর বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা, ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাড়বে বৃষ্টির দাপট

আগামী দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস।

Heavy rain lashes in Kolkata, Water logging in various area
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 26, 2018 8:58 am
  • Updated:July 26, 2018 9:13 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  রাতভর টানা বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা। দমদম, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোডে জল থইথই করছে। একই অবস্থা শিল্পতালুক সল্টলেক সেক্টর ফাইভের। ব্যস্ত কলেজ মোড়ের রাস্তায় একহাঁটু জল। তার মধ্যে দিয়েই চলছে গাড়ি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলছে, মাঝে মাঝে বৃষ্টির গতি বাড়লেই ভোগান্তিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ইতিমধ্যেই নিকাশি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহরবাসী। টানা বৃষ্টি হতে না হতেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারও দিনভর চলবে ভারী বর্ষণ। সকালে থেকেই মেঘে ঢেকেছে আকাশ। এরপর যদি বৃষ্টির গতি বাড়ে তাহলে শহরের বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা। কাজের দিনে এহেন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ বাড়বে বাসিন্দাদের। এদিন কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে শহরে জলও বাড়বে পাল্লা দিয়ে। সেই সঙ্গে জমা জলে গাড়ির গতি শ্লথ হলেই যানজটেরও সম্ভাবনা প্রবল।

[স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নর্দমায় পড়ে মৃত্যু শিশুকন্যার]

Advertisement

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া থেকে দিঘা হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা। আবার বাঁকুড়া থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে পশ্চিম অসম পর্যন্ত বিস্তৃত আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই ত্রহ্যস্পর্শেই আজ দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের নানা অঞ্চলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহওয়াবিদদের ধারণা। এতেই শেষ নয়। শনিবার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে ফের দানা বাঁধতে পারে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে এদিন জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস।

Advertisement

আষাঢ়ে মুখ ফেরালে শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই চেনা ছন্দে বর্ষা। ভারী হালকা ধারাবাহিকভাবেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি চলছে। বুধবার সকাল থেকে মহানগরের আকাশেও মেঘ ও রোদের লুকোচুরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের ঝিকিমিকি উধাও। আকাশের মুখ ভার করে মাঝেমধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে। দুপুরের পর তেকে রোদের দেখা মেলেনি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলেছে রাত এগারোটা পর্যন্ত। এগারোটার পরে ফের শুরু ভারী বর্ষণ। ঘূর্ণাবর্তের জেরে পরিমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাস্প ঢুকছে। যার জেরে তাপমাত্রা বাড়ছে না। উলটে চড়চে অস্বস্তির পারদ। মেঘের কারণে আলিপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে স্বাভাবিকের এক ডিগ্রি নিচে ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দুই অক্ষরেখা ও বঙ্গোপসাগরের আসন্ন নিম্নচাপের যদি এরাজ্যে বর্ষণ ঘটায়, তাহলে বৃষ্টির ঘাটতি কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

[ পুলিশকর্মীকে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ, সিউড়িতে আটক ব্যবসায়ী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ