বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের রাজ্য পুলিশে কনস্টেবলের নিয়োগ পরীক্ষায় হাইটেক টুকলি। নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল ২৫ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে পুরনো পদ্ধতির নকল-সহ ধৃত বেশ কয়েকজন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রযুক্তির সাহায্যে টুকলির ব্যবহার চিন্তায় ফেলেছে পুলিশকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।
কানে অতি ক্ষুদ্র ব্লু-টুথ হেডফোন। পকেটে বা অন্য কোথাও ছোট্ট একটি ব্লু-টুথ ডিভাইস। আর এই যন্ত্রের মাধ্যমেই হলের বাইরে থেকে আসছে পরীক্ষার্থীর বলে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই নিয়োগ পরীক্ষায় নকল করছে বেশকিছু পরীক্ষার্থী। যদিও শেষরক্ষা সবার হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই পুলিশের নজরে এসেছে বিষয়টি। সেকারণেই নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য কনস্টেবল পদের লিখিত পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছে জনা ২৫ পরীক্ষার্থী।
[ধর্ষণের অভিযোগ তোলেনি, নির্যাতিতার পরিবারকে সালিশি সভায় প্রাণনাশের হুমকি]
এর আগে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির সাহায্যে রানাঘাট কলেজের দুই ছাত্রও পরীক্ষায় পাশ করতে চেয়েছিল। সেটি ছিল দমকলের ফায়ার অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা। চলতি মাসের ১৫ তারিখে সেই পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে পড়ে যায় সুখদেব রায় ও রকি মাঝি। তারা যথাক্রমে রানাঘাট পালচৌধুরি হাইস্কুল ও পায়রাডাঙা বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র। সুখদেবের বাড়ি নাকাশিপাড়া থানার দুর্গাপুরে। হাঁসখালি থানার গাংনাপুরে বাড়ি রকি-র। এদের মধ্যে একজন হাওয়াই চটির সোল কেটে ঢুকিয়ে রেখেছিল ব্লু-টুথ ডিভাইস। কানে ছিল ছোট্ট ব্লু-টুথ হেডফোন। ওই ডিভাইসের মাধ্যমেই বাইরে থেকে উত্তরদাতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। অন্যজনের ব্লু-টুথ ডিভাইস পকেটেই ছিল। পরীক্ষা শুরু হতেই হেডফোন কানে নিয়ে বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে বেরতেই সন্দেহের বশে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দফায় দফায় জেরা শুরু হতে সব স্বীকার করে দুই ছাত্র। ঘটনাটি ভাতজংলার কালিপুর হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের। এরপরেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
এই ঘটনার পরে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় নজরদারিতে খামতি রাখেনি পুলিশ। তাতেই নকল করতে গিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ল ২৫ জন পরীক্ষার্থী। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর।