রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমুদ্রে মাছ ধরার উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা! তার পরেও দিঘা মোহনায় বিক্রি হচ্ছে দুই কেজি থেকে আড়াই কেজি সাইজের ইলিশ। যার দাম দেড়-দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত বড় আকারের ইলিশের জোগান আসছে কোথা থেকে। যদি স্টোরের সংরক্ষিত ইলিশ হয়ে থাকে তাহলে এত সস্তা কীভাবে সম্ভব? এগুলো আসল ইলিশ না কি ইলিশের ‘রেপ্লিকা’ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৎস্যজীবীরা বলছেন, টাটকা ইলিশ পেতে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে ভোজনরসিক বাঙালিকে।
প্রত্যেক বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন ইলিশের প্রজননের সময় সরকারি নির্দেশে ৬১ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ফলে এই সময়ে সামুদ্রিক মাছের সংকট দেখা দেয়। তবে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত ইলিশ এই সময় চড়া দামে বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে এই চিত্র ধরা পড়ে। কিন্তু ইলিশের সংকটের সময় এত বড় মাপের ইলিশ এত কম দামে কীভাবে বিক্রি হচ্ছে দিঘা মোহনায়। তাহলে কি ইলিশের মত দেখতে মাছ ইলিশ বলেই পর্যটকদের বিক্রি করা হচ্ছে? আর সস্তায় এত বড় সাইজের ইলিশ মাছ পেয়ে মনের মত করে কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরাও। তাদের অনেকেই জানেন না,সমুদ্রে মাছ ধরা এখন বন্ধ রয়েছে। তাদের ধারণা, যেহেতু বঙ্গোপসাগরের উপকূলে দিঘা মোহনায় আন্তর্জাতিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র রয়েছে। ফলে এখানে সস্তায় ইলিশ পাওয়াটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু পর্যটকেরা এই দিঘা মোহনাতেই যে চরমভাবে ঠকতে পারেন তা পর্যটকদের ধারণার বাইরে। তাই দিঘা মোহনায় ইলিশ কেনার সময় সতর্ক থাকাটা জরুরি।
অভিযোগ, সমুদ্রে ইলিশ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গোপনে কিছু ছোট নৌকা মাছ ধরে ফিরছে, তা ধরা পড়ে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইনের ক্যামেরায়। যদিও দিঘা মোহনা মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের কাছে থাকা ইলিশের কিছুটা স্টোরেজের। পাশাপাশি ওড়িশার তালসারি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কি জলের দরে ফলের রস বিক্রি করা সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.