স্টাফ রিপোর্টার: বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হচ্ছে। তার জেরেই লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। হচ্ছে অগ্নিমূল্য। আবার ফড়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন চাষিরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হুগলির চণ্ডীতলা, হরিপাল, বর্ধমানের একাধিক এলাকা। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মতো জেলা থেকে ইতিমধ্যে এই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে নবান্নে। চাষিরা অভিযোগ জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও শাসক দলের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অবিশ্বাস্য হারে কৃষিজ পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আবহাওয়ার সামান্য খামখেয়ালিপনার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃষিজ পণ্য মজুত করে নিয়ে কৃত্রিমভাবে তার মূল্য বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন তাঁরা। কখনও বলা হচ্ছে বৃষ্টির জন্য ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে চাহিদা বাড়ছে। কখনও বলা হচ্ছে বৃষ্টি কম হওয়ায় ফসল ফলেইনি। তাতেও চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। অথচ সেই পরিস্থতি তৈরিই হয়নি। চাষিদের এই অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য কৃষি দপ্তরও। দপ্তরের আধিকারিকরাও দাবি করেছেন, ফড়েরা কৃত্রিম চাহিদা বাড়িয়ে মূল্য বাড়াচ্ছে। তার জেরেই অগ্নিমূল্য হচ্ছে সবজি।
[রাজ্য কেন আদালতে, মমতার আধার মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
শহরের বাজারে এখন টমেটোর দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি। বেশ কিছু জায়গায় দেড়শো ছাড়িয়েছে। পটল ৮০ টাকা প্রতি কেজি, পেঁপে ৬০ টাকা প্রতি কেজি, ভেন্ডি ৮০ টাকা প্রতি কেজি। পিঁয়াজের দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে চালের দামও। প্রতি কেজিতে অন্তত ২০ টাকা করে দাম বেড়েছে বলে খবর। চাষিদের দাবি, বেশিরভাগ সবজি বা ফসলই চাষিরা বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকায়। পাইকারি বাজারে তার দাম বেড়ে যাচ্ছে ২২ টাকা। খুচরো বাজারে সেই দাম বেড়ে হচ্ছে ৪০ টাকা বলে দাবি চাষিদের। রাজ্যের একটা বড় অংশ সবজি সরবরাহ করে হুগলি-বর্ধমানের চাষিরা। তাঁরাও জানাচ্ছেন, কেজি প্রতি ৩৫ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। লাভের টাকা ঢুকছে ফড়েদের ঘরে। কিছুই পাচ্ছেন না চাষিরা। রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। কৃষি দপ্তরও ইতিমধ্যে বাজারের রিপোর্ট নিতে শুরু করেছে বলে খবর।
[ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.