Advertisement
Advertisement

Breaking News

lock down

লকডাউনে ভাঁড়ারে টান, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াল হুগলি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দেখানো পথই অনুসরণ করছি, বলছে জেলা নেতৃত্ব।

Hooghly district youth trinamool congress help needy people

মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সন্দীপবাবু

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 11, 2020 7:22 pm
  • Updated:May 11, 2020 7:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রায় দুমাস ধরে লকডাউন চলেছে গোটা দেশে। এর ফলে গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। কাজ বন্ধ থাকায় সরকারি ও বহুজাতিক সংস্থাগুলি ছাড়া বাকি ছোটখাট বহু কোম্পানির কর্মচারী অনেকেই ঠিকঠাক মাইনে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এর ফলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও। হাতে থাকা নগদের জোগান কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি হুগলির জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে দুস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। তারকেশ্বর থেকে গুপ্তিপাড়া, চাঁপদানি থেকে ত্রিবেণী প্রায় সব জায়গাতেই গত ২৫ মার্চ থেকে বিনা পয়সার বাজার বসানোর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।

লোকমুখে সেই সমস্ত কথা শুনেই ভরসা পেয়েছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ দত্ত। দীর্ঘদিন ধরে অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের রোগে অসুস্থ থাকার কারণে গত দু’বছর ধরে স্থায়ী কোনও কাজ করতে পারেন না তিনি। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে চুঁচড়ার অন্তরাবাগানের একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। অন্য অনেক কিছুর মতো রেশন কার্ডও নেই। বর্তমানে পরিস্থিতিতে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটাতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছিলেন। চারিদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সৈনিকরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন শুনে একটু আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। সম্প্রতি তাই নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন হুগলি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুর্বিষহ এই অবস্থার মধ্যে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাঁর উল্লেখ করেছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোটরবাইকে মুম্বই থেকে ভাঙড় ফিরলেন ব্যবসায়ী, প্রতিবেশীদের চাপে ঠাঁই কোয়ারেন্টাইনে ]

আর সেই চিঠি হাতে পেতেই চুঁচুড়া এলাকার দলীয় কর্মীদের বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন শান্তনু। পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ সরকারকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। বলেন, মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে সন্দীপ দত্তের বাড়িতে পৌঁছে যান সোমনাথবাবু। আগামী দিনে যেকোনও ধরনের প্রয়োজনে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন। এই ঘটনায় আপ্লুত সন্দীপবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোমনাথ সরকারকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মসজিদ-মাদ্রাসায় হোক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, আরজি বাংলার ইমামদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ