সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেন হস্টেলে প্রাণ গিয়েছে নদিয়ার বগুলার নাবালকের। সেই তদন্ত চলছে। এর মাঝেই বগুলা হাসপাতালের নামবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম রাতারাতি বদলে হয়ে গিয়েছে স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতাল। আর এর প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন বগুলাবাসী। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, বুধবার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন নামের উদ্বোধনের কথা ছিল জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির। কিন্তু আজ সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী বগুলা হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করা যাবে না। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত হচ্ছে ভাল কথা। তাঁর মাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তাও ঠিক আছে। কিন্তু ছাত্র মৃত্যুতে হাসপাতালের নাম বদল হবে কেন? ছাত্রমৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালের নামবদলের কী যোগ আছে? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বগুলার হাসপাতাল নয়, যাদবপুরের হস্টেলের নাম হোক ‘স্বপ্নদীপ’।
এই নিয়ে সকাল থেকে দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যের বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল, স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতাল। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী সেই নাম মুখে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকাজুড়ে।
প্রসঙ্গত, নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন যাদবপুরে মৃত ছাত্রের মা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী নামবদলের ঘোষণা করেন। জানান, মৃত ছাত্রের আবক্ষ মূর্তিও বসবে হাসপাতালে। এমনকী, হাসপাতালেই মৃত ছাত্রের মাকে চাকরি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই নামবদল নিয়ে চরম ক্ষোভ উগরে দিল বগুলাবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.