Advertisement
Advertisement
corona pandemic

Coronavirus: ভাইরাস কেড়েছে বাবার প্রাণ, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে ১৫ বছরের দেবস্মিতা

এমন শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই  ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ’র মানবিক প্রয়াস ‘আদর’।

Howrah family loses sole bread earner to corona pandemic । Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:August 31, 2021 6:48 pm
  • Updated:September 5, 2021 7:34 pm

অতিমারীতে এদের কেউ হারিয়েছে বাবাকে। কেউ বা মাকে। কেউ কেউ দু’জনকেই হারিয়ে নিঃস্ব, বিপন্ন। এমন শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই  ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ’র মানবিক প্রয়াস ‘আদর’। এমন শিশুদের সন্ধান জানাতে পারেন আপনিও। যোগাযোগ করুন ৯০৮৮০৫০০৪৮ নম্বরে।

অভিরূপ দাস: বইয়ের ব্যাগের জায়গায় হাতে তুলে নিতে হয়েছে বাজারের থলি। ঘুরতে হচ্ছে দোকানে দোকানে। কেউ যদি দয়া করে কিছু দেয়। ঘরের ভাঁড়ার যে শূন্য। হেঁশেলে আনাজপাতি নেই। ঠনঠন করছে চালের ড্রাম। অভাবের তাড়নায় বন্ধ হওয়ার মুখে দেবস্মিতা লাহার লেখাপড়া।

Advertisement

Advertisement

এই সবে একাদশ শ্রেণিতে উঠেছে হাওড়ার আমতা থানা এলাকার বছর পনেরোর দেবস্মিতা। মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে আর সকলে যখন খুশিতে ডগমগ, কপালে ভাঁজ পড়েছিল কিশোরীর। স্কুলে ভর্তি হওয়ার টাকা ছিল না। স্থানীয় দোকানের লোকেরা চাঁদা তুলে ভর্তি করে দিয়েছেন জ্যোতকল্যাণ পুষ্পরানি বিদ্যামন্দিরে। চিন্তা এখন একটাই। আগামীদিনে খাতা,বইয়ের খরচ কোথায় থেকে আসবে? দু’বেলা পেটভরে খাবারই  জুটছে না।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: মাতৃহারা কিশোরীর বাবাকেও কাড়ল করোনা, এখন একাই চোখের জল মুছছে স্নেহশ্রী]

হাওড়া  (Howrah) জেলায় জয়ন্তী রথতলা গ্রামে বাড়ি দেবস্মিতাদের। আমতা থানার অন্তর্গত এই এলাকায় দোকানে দোকানে পাউরুটি ফেরি করতেন দেবস্মিতার বাবা দিব্যেন্দু লাহা। মে মাসে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে দিব্যেন্দুবাবুর। কোভিড (Covid-19) টেস্ট করাতে রিপোর্ট পজিটিভ। বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে ( Baltikuri covid hospital) ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও ৬ জুন মারা যান দিব্যেন্দু। দেখে যাওয়া হয়নি মেয়ের মাধ্যমিকের রেজাল্ট।

জুলাইয়ে প্রকাশিত হয় মাধ্যমিকের রেজাল্ট ( Madhyamik Result)। ভাল রেজাল্ট করে দেবস্মিতা। স্কুলে ভর্তি হতে গিয়ে বিপাকে পড়ে । বাবাই তো ছিলেন সংসারের একমাত্র রোজগেরে। মা শুক্লা লাহা জানিয়েছেন, ভোরবেলা দোকানে দোকানে পাউরুটি ফেরি করত ও। অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হওয়ায় করোনা আবহেও ছুটি ছিল না। প্রতিদিনই বেরোতে হত। চুপিসারে কখন ভাইরাস প্রবেশ করেছিল, টের পাননি দিব্যেন্দু।

স্কুলে যাওয়া-আসার খরচ, পড়াশোনার খরচ বড় কম নয়। স্থানীয় দোকানিরা জানিয়েছেন, করোনা আবহে ব্যবসাপত্র আগের থেকে অনেক কম। তবু সহানূভূতির খাতিরেই লাহা পরিবারকে টাকা দিচ্ছেন তাঁরা। এক দোকানির কথায়, “কতদিন  এভাবে সাহায্য করতে পারব জানি না। আমাদেরও তো সংসার রয়েছে।” ফি দিনই চোখের জল ফেলতে হয় দেবস্মিতাকে। তার আকুতি, “কেউ সাহায্য না করলে মাঝপথেই আমার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হবে। আধপেটা খেয়ে কতদিন লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব জানি না।”

[আরও পড়ুন: Corona Positive: করোনা আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা, ভরতি] হাসপাতালে]

পাশে চাই আপনাকেও 

এই সবহারানো অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পারেন আপনিও। সরাসরি অর্থসাহায্য পাঠানো যাবে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অ্যাকাউন্টে।
State Bank of India, Ballygunge Branch,
A/C No : 30391077575
IFS Code : SBIN0003951
Mobile : 9433607740 (Debashish Maharaj)

বিঃ দ্র: টাকা পাঠানোর পর আপনার নাম,ঠিকানা ও সাহায্যের পরিমাণ স্ক্রিনশট-সহ হোয়াটসঅ্যাপ করুন 9433607740 ও 9088050048 নম্বরে। আমরা যথাসময়ে তা প্রকাশ করব। সাহায্যকৃত অর্থ 80G ধারা অনুযায়ী করমুক্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ