দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, পরে বিয়ে করতে অস্বীকার। সহবাস ও বিয়ের বিষয়ে কিছু বললে ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি। প্রেমিকের থেকে এমন আচরণের জেরে লজ্জা এবং অপমানে আত্মঘাতী হল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্রীর নাম সুনীতা দাস (১৮)।
[গাড়ি থেকে নামিয়ে শিল্পী ব্রততীকে হেনস্তা, অকথ্য গালিগালাজ]
মৃতের বাড়ি হুগলির পোলবা থানার রাজহাট উত্তর চার্চ এলাকায়। অভিযুক্ত প্রেমিক সোনু যাদবের আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও ছোট থেকেই সে পোলবার রাজহাটে থাকত। প্রেমিকের প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে না পারায় ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঘাস মারার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়। সুনীতার পরিবারের বক্তব্য বছর তিনেক আগে তাঁদের সন্তানের সঙ্গে সোনুর পরিচয় হয়। পরে তা ভালবাসায় পরিণত হয়। সুনীতাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোনু দিনের পর দিন সহবাস করে। কিন্তু সুনীতা বিয়ের কথা বললে সোনু এড়িয়ে যেত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এ নিয়ে সোনুর সাথে প্রচণ্ড বাকবিতন্ডাও হয়। এই নিয়ে সুনীতাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের। গত বুধবার ওই যুবক সুনীতার মোবাইলে বেশ কিছু মেসেজ পাঠায়। যেখানে হুমকির সুরে বলা হয় বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার কাছে ওই পরীক্ষার্থীর যেসমস্ত অন্তরঙ্গ ছবি রয়েছে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মেসেজে সোনু তার প্রেমিকাকে বিকল্প পথ হিসেবে মৃত্যুকে বেছে নিতে বলে।
[দুর্ঘটনায় সব শেষ, বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল কিশোরী]
এরপরই সুনীতা বুধবার রাতে বাড়িতে রাখা ঘাস মারার ওষুধ খেয়ে নেয়। প্রথমে পরিবারের কেউ কিছুই বুঝতে পারেনি। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনীতা ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ায় পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়। তাঁরা সুনীতাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানেই সুনীতার মৃত্যু হয়। এরপরই ওই ছাত্রীর বাবা দেবকুমার দাস সোমবার সোনু যাদবের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সোনু পলাতক। পোলবার থানার পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.