বাবুল হক, মালদহ: সাতসকালে রেললাইনের ধার থেকে এক মহিলার দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরাতন মালদহের রাঙামাটিয়া গ্রামে। অভিযোগ, ওই মহিলাকে বাড়িতে খুন করে মৃতদেহ রেললাইনে ফেলে যাওয়া হয়। খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[কেন জীবিত ধরা গেল না বাঘ? তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
নিহত মহিলার নাম পদ্মাবতী মণ্ডল। বয়স ৪৫। স্বামী সুশীল মণ্ডলই তাঁকে বাড়িতে খুন করে দেহ লাইনে ফেলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত ছিলেন। সুশীল একটি কারখানায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। পদ্মাবতীও শ্রমিকের কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বচসা হয় বলে জানিয়েছে ওই দম্পতির মেয়ে দুর্গা মণ্ডল। শনিবার সকাল থেকে মায়ের খোঁজ না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে মেয়ে। ঘরের মেঝেতে চাপ চাপ রক্তের দাগ। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষে দেখা যায়, রেল লাইনের পাশে পদ্মাবতীদেবীর দ্বিখণ্ডিত দেহ পড়ে রয়েছে।
প্রতিবেশীদের সন্দেহ পদ্মাবতী রেলে কাটা পড়ে মারা যাননি। তাঁকে বাড়িতে খুন করে দেহ লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের দাবি, বাবাই তাঁর মাকে খুন করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মহিলার স্বামী। পরে পুরাতন মালদহ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুরাতন মালদহ থানার ওসি মানবেন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, নিহতর বাড়ি থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।