বাবুল হক, মালদহ: পণের দাবিতে এক অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ থানা এলাকার বাঁশহাটি গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বধূর নাম বৃষ্টি হালদার (১৯)। তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই প্রার্থী, ঘরকন্না সামলাচ্ছেন আত্মীয়রাই]
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে বাঁশহাটি গ্রামের এক ছোট ব্যবসায়ী সমর হালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করে অভিযুক্ত স্বামী। এই নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বচসা বাধত। গত এক বছরে অশান্তি কম হয়নি। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযোগ, সম্প্রতি ফের টাকা আনার জন্য ওই বধূর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু বধূটি ওই টাকা আনতে কিছুতেই রাজি হননি। অভিযোগ, তারপরই তাঁকে খুনের ছক কষে ওই ব্যক্তি। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে তুমুল বচসা বেধে যায়। সেই সময়ই স্বামী ওই বধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে| এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[কেন জীবিত ধরা গেল না বাঘ? তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]