সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামনবমীতে বিজেপি সমর্থকদের অস্ত্র মিছিল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। মামলা রুজু হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোনও রাজনৈতিক নেতা অস্ত্র হাতে মিছিল করলে আইন আইনের পথেই চলবে। এই প্রসঙ্গেই এবার মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যদি পারেন তো মহরমে মুসলিমদের অস্ত্র ব্যবহার ঠেকিয়ে দেখান।
[ আগামী ১৪ মে থেকে প্রতি রবিবার বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প ]
রামনবমী পালনে অভূতপূর্ব জোয়ার এবার দেখা গিয়েছিল রাজ্যে। খড়গপুর থেকে সিউড়ি, এমনকী খাস কলকাতার বুকেও একাধিক মিছিল দেখা যায়। মিছিলে সভ্য সমর্থকদের হাতে ছিল তরোয়াল। এমনকী পড়ুয়া ও কচিকাঁচাদের হাতেও অস্ত্র দেখা গিয়েছিল। এ নিয়েই তুমুল সমালোচনা হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। কেন অস্ত্র মিছিল করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যবাসীর একাংশ। এরপরই খড়গপুর নিউ টাউনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন জনৈক ব্যক্তি। তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে পুলিশ। এ নিয়েই বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। বিজেপি সমর্থকরা প্রশ্ন তোলেন, মহরমে যদি মুসলমানরা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে রামনবমীতে তা করলে সাজার খাঁড়া নেমে আসছে কেন?
[ এটাই পাকিস্তান! ২ পাক নাবিকের প্রাণ বাঁচানোর পরও মৃত্যুদণ্ড কুলভূষণের ]
একই কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল সিনহাও। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি পারেন তো মহরমে মুসলিমদের অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করে দেখান। তাঁর প্রশ্ন, মুসলিমরা যদি তাঁদের ঐতিহ্য বজায় রেখে তরোয়াল ব্যবহার করতে পারে, তাহলে একইভাবে হিন্দুরা তাঁদের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পারবে না কেন?
এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী ৯ ইঞ্চি বা তার বড় কোনও ছোরাজাতীয় অস্ত্র সঙ্গে রাখা বা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা বেআইনি। সেই হিসেবেই অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছিল দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অস্ত্র প্রসঙ্গেই রাহুল বলেন, গোটা রাজ্য জ্বলছে। বিজেপির উপর দোষ আরোপ না করে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আসল অস্ত্রের দিকে খোঁজ করা। তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্ত্রের ভাঁড়ার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
[ বানরের স্বভাব কাটিয়ে মানুষের মতো খেতে শিখেছে ‘বন্য’ বালিকা ]
এদিকে অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মিছিল করার কারণে আজ ধুন্ধুমার বাধে সিউড়িতে। এদিনের মিছিলে অবশ্য কোনও বিজেপি নেতা ছিলেন না। তবে কারও কারও হাতে অস্ত্র ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একসময় লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। আহত হন আটজন। এরপরই আগামী সাতদিনের মধ্যে সিউড়িতে প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় বিজেপি। এই ঘটনায় আগামী সাতদিন প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে।
[ কুলভূষণ প্রসঙ্গে বলিউডের খান হিরোরা চুপ কেন, তোপ অভিজিতের ]