Advertisement
Advertisement
অপহরণ, মুক্তিপণ

মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে এসে অপহরণকারীদের ফাঁদে ব্যক্তি, তারপর…

ছবির চিত্রনাট্যকেও যেন হার মানায় এ ঘটনা।

In abduction case policerescue two people in Nadia’s Nabadwip
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 2, 2019 9:38 pm
  • Updated:April 2, 2019 9:46 pm

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়তে হল মেয়ের বাবা ও তাঁর এক বন্ধুকে। অপহরণকারীদের নজরবন্দি হয়ে থাকতে হল দীর্ঘক্ষণ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। কিন্তু স্রেফ বুদ্ধির জোরেই এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন তাঁরা। নদিয়ার নবদ্বীপ থানার ফকিরডাঙ্গা এলাকার গঙ্গার ধারে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের বাবার নাম দিবাকর সাধু। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখছিলেন তিনি। দিবাকর সাধু বলেন, “রবিবার বিকেলে হঠাৎই একটি ফোন এসেছিল আমার মোবাইলে। ফোনের উলটোদিকে একজন নিজেকে ছেলের বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, আমার বিবাহযোগ্য কন্যা আছে কি না। ওই ব্যক্তি নিজের নাম রাহুল মণ্ডল বলেন। কিছুক্ষণ পরেই আবার একটা ফোন আসে। সেই ব্যক্তি নিজেকে ছেলের বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, তাঁর নাম সুভাষ বেনে। তাঁর ছেলে রেলের স্টেশনমাস্টার পদে চাকরি করেন। ব্যান্ডেলে পোস্টিং। আমার মেয়েকে দেখতে চান তিনি। নবদ্বীপে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্যও বলেন। আমি ওই কথা শুনে এক বন্ধুকে নিয়ে নবদ্বীপ পোঁছাই। এরপর তাঁকে ফোন করলে এক যুবক ফোনটি ধরে। ওই যুবক নিজেকে সুভাষবাবুর আত্মীয় পরিচয় দেয়। আমাদের রেলগেটের কাছে যেতে বলে। ওখানেই অপেক্ষা করছিল সে। তার বাইকে চেপে আমরা একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে যাই।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় ৬৭ হাজার, ব্যাংক জালিয়াতিতে বিপদে দম্পতি ]

Advertisement

এর কিছুক্ষণ পরই ঘটে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে আরও কয়েকজন সেখানে আসে। তাদের মধ্যে এক যুবক নিজেকে সুভাষ বেনে পরিচয় দেয়। তারা এসেই দিবাকরবাবু ও তাঁর বন্ধুর মাথায় বন্দুক ও ভোজালি ঠেকিয়ে মোবাইল এবং হাতের আংটি খুলে নেয়। বলে, মুর্শিদাবাদ থেকে নবদ্বীপে অস্ত্র ব্যবসার মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে দিবাকরবাবুদের। এরপর তারা মুক্তিপণ হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এও বলে, তাদের কথা মত কাজ না করলে দু’জনকেই খুন করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

এখানে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন দিবাকরবাবু। ছোট মেয়েকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের পরিস্থিতি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন। ছোট মেয়ে গোটা বিষয়টি তার জামাইবাবুকে জানান। তিনি বিষয়টি জানান নদিয়ার পুলিশ সুপারকে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে নবদ্বীপ থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। এরপর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সাহায্যে দিবাকর সাধু ও তাঁর বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়। যদিও পুলিশের আসার খবর টের পেয়ে অপহরণকারীরা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানান, মেয়ে দেখতে এসে অপহরণকারীদের কবল খপ্পরে পড়েছিলেন দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

[ আরও পড়ুন: ময়দানে মোদি-মমতা, বুধবার থেকে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারের ঝড় ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ