রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিঘা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার ছয় পর্যটক। পূর্ব মেদিনীপুরের রামতারক এলাকার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মাছবোঝাই একটি লরি, পর্যটকদের চারচাকা গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা তিন পর্যটকের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম আরও দুজন। জানা গিয়েছে, চারজনই হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার জন্য কমে গিয়েছিল দৃশ্যমানতা। আর তাই বড়সড় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার গভীর রাতে হুগলির খানাকুল থেকে গাড়িতে চেপে ছয় ব্যক্তি দিঘার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। একটি লরি মাছ বোঝাই করে রামতারক এলাকার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা পর্যটকদের গাড়িটির সঙ্গে লরিটির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। বিকট আওয়াজ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়। জানা গিয়েছে, চারচাকা গাড়িটি কা্র্যত দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে কোনওরকমে সকলকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পরই লরি দাঁড় করিয়ে রেখে পিঠটান দেন চালক। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তড়িঘড়ি আহত বাকি তিনজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন : সুজাপুরে ধর্মঘটীদের উপর হামলার অভিযোগ, চিহ্নিত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী]
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম দীপঙ্কর বর (৩৪), প্রসেনজিত দিগের (৫৩), রাজকুমার পন্ডিত (৩২), দিলীপ সামন্ত (৫০)। মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের বাড়ি খানাকুল থানার ময়াল এলাকায়। দেহগুলি উদ্মদার করে য়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হুগলির খানাকুলের কিশোরপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতে প্রবল কুয়াশা পড়েছিল। ফলে দৃশ্যমানতা শূন্যে পৌঁছে গিয়েছিল। যার জেরে বিপত্তি ঘটে। তবে গাড়ির চালক মদ্যপ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।