রাজা দাস, দক্ষিণ দিনাজপুর: বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিজিবি)–র গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মাসুদ রানা মণ্ডল(২৯)। বাড়ি হিলির ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গোবিন্দপুর এলাকায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সঙ্গী। আহতের নাম আমজাদ আলি মণ্ডল। পায়ে গুলি লাগায় তিনি বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে হিলি থানার গোবিন্দপুর বিওপি এলাকায়।
[কাদা ছোড়া বন্ধ হোক, এক্তিয়ার বিতর্কে রাজ্যকে কড়া জবাব রাজ্যপালের]
স্থানীয়দের দাবি, বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করে বাড়ি ফিরছিলেন মাসুদ ও আমজাদ। কেউই পাচারের কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে যাওয়ার সময় ওপার থেকে গুলি ছুটে আসে। অভিযোগ, ওই দুজনকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিল বিজিবি। রাতের অন্ধকারে তাঁরা যে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তপ্রহরীর বন্দুকের নিশানায় এসেছেন, বুঝতে পারেননি। তাই আত্মরক্ষার চেষ্টার আগেই গুলি লাগে। রাতেই আহত দুজনকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় মাসুদ রানার। তবে পায়ে গুলি লাগায় এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন আমজাদ।
[পাঁশকুড়ায় পাহাড়িয়া মৌমাছির তাণ্ডব, হুলের ঘায়ে হাসপাতালে ৪]
এমনিতেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় পাচারচক্রের রমারমা রয়েছে হিলিতে। মৃত যুবক পাচারকারী বলে খবর। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ মৃতের আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, বিনা কারণেই ভারতীয় সীমানা বরাবর গুলি চালিয়েছে বিজিবি। তাতেই মৃত্যু হয়েছে মাসুদ রানার। বিজিবির এই আচমকা গুলির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিকে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে হিলি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে হিলি থানার পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকরা। কেন আচমকা গুলি চালাল বিজিবি, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিএসএফ। এই ঘটনার পরেই দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেন।
জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত যুবক পাচারকারী। তাঁরা নিষিদ্ধ নেশার সিরাপ পাচার করত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বুধবার রাতে ওই দুজন পাচারের কাজ করছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আদৌ দুই যুবক বিয়েবাড়িতেই গিয়েছিলেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে।