সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশু পাচার কাণ্ডে তিনি জড়িত নন। সম্মান নষ্ট করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ আনছে রাজ্য সরকার। ফের একবার শিশু পাচার কাণ্ডে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি রূপা এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানীভবনে তলব করেছে সিআইডি। সেই প্রসঙ্গে রূপার এহেন মন্তব্য।
[জীবন বিপন্ন করে কুকুরের প্রাণ বাঁচালেন দমকলকর্মী]
তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, এই অভিযোগ এনে রূপা বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে এই চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। আমার সম্মান নষ্ট করাই মূল উদ্দেশ্য। তাই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘এর আগে বারবার চাওয়া সত্ত্বেও আমরা চার্জশিটের কপি হাতে পাইনি। বিস্তর টালাবাহানার পর এক মাস আগে পুলিশ আমাদের হাতে চার্জশিট তুলে দিয়েছে। ‘ এর পাশাপাশি রূপার দাবি, রাজ্য সরকার হাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। তাই ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মন্তব্য ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাতেও মুখর হন তিনি। বলেন, ‘রাজ্য প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে দমিয়ে রাখার জন্যই রাজ্য সরকার এমন কাজ করছে।’
[বৃষ্টিবন্দি শহর কলকাতা, জলমগ্ন বীরভূমে বন্যার ভ্রুকুটি]
এদিকে, জলপাইগুড়ির শিশু পাচার ও বসিরহাটের জালিয়াতি-কাণ্ডে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যকে ভবানী ভবনে তলব করতেই সিআইডির সঙ্গে শুরু হয়ে গেল কেন্দ্রের সংঘাত। শিশু পাচার-কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে এবার সিআইডিকে পাল্টা নোটিস পাঠাল কেন্দ্রের জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই নোটিস পাঠিয়ে কমিশন বলেছে, দ্রুত এই কাণ্ডের তদন্তের যাবতীয় তথ্য দিল্লিতে পাঠাতে হবে। না হলে সরাসরি হাজির হতে হবে কমিশনে। শুক্রবার এই নোটিস পেয়ে সিআইডির গোয়েন্দা কর্তারাও অবশ্য পাল্টা জবাব দিয়েছেন কমিশনকে।