বাবুল হক, মালদহ: ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়া শ্রমিকদের বাংলায় ফেরার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তায় সাড়া দিয়ে অনেকেই বাংলায় ফিরেছেন। তাদের কাজের ব্যবস্থার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কাজের সন্ধানে গিয়ে অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন মালদহের এক শ্রমিক।
[বিয়েতে নারাজ পরিবার, মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন যুবক!]
মতিউর রহমান গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনিক ভবনে। সেখান থেকে তাঁকে নিজের দপ্তরে ডেকে নিয়ে যান মালদহের জেলা পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও)। এরপর মতিউরকে প্রায় পাঁচ মিনিট কান ধরে দাঁড় করানো হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁকে কান ধরে ওঠবসও করানো হয়েছে। নিজ এলাকায় কাজ পাওয়ার আশায় জেলা প্রশাসনিক ভবনে নিজের নাম ও তথ্য-সহকারে আবেদন জানাতে এসেছিলেন সামসির বাসিন্দা মতিউর। নথি জমা দেওয়ার লাইন দীর্ঘ হওয়ায় সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। হই হট্টগোল চলছিল। বিশৃঙ্খলার অভিযোগে দপ্তর থেকে বেরিয়ে মতিউরকে ধরে নিয়ে যান আরটিও বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কান ধরে শাস্তির ছবি প্রকাশ্যে আসতে জেলার প্রশাসনিক মহলেও শোরগোল পড়ে যায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) আর ভিমলা বলেন, “ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
[শরীরে অংখ্য মৌমাছির কামড়েও নির্বিকার, তাক লাগাচ্ছেন বাঁকুড়ার যুবক]
জেলার শ্রমিকদের ভিনরাজ্য থেকে ফেরাতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বছরে ২০০ দিন কাজ দেওয়ার জন্য মালদহ জেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে। ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের তথ্য সম্বলিত ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু করেছে। কাজ পাওয়ার আশায় শ্রমিকরা আবেদন করতে আসছেন জেলা প্রশাসনিক ভবনে। এদিনও শ্রমিকদের ঢল নামে। দীর্ঘ লাইনে হইচই হয়। এরপরই মেজাজ হারিয়ে দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসেন জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক তপন মল্লিক। ওই শ্রমিককে বিশৃঙ্খলা তৈরির কারণ দেখিয়ে নিজের দপ্তরে নিয়ে গিয়ে আটক করেন এবং স্কুল ছাত্রের মতো কান ধরে ওঠবস করানোর পাশাপাশি কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে রেহাই পান মতিউর রহমান। ওই শ্রমিক বলেন, “আবেদনপত্র জমা নেওয়া হলেও কোনও রিসিভ কপি দেওয়া হচ্ছিল না। আমি তারই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই জন্যই আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরে ডেকে আমায় কান ধরে ওঠবস করানো হয়। অনেকক্ষণ কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়। এরপর ভিড় সামলাতে নিজেই হ্যান্ড মাইক ধরে শৃঙ্খলা ফেরান অতিরিক্ত জেলাশাসক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.