শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পাড়ার মেয়ে মিমি পর্দার নায়িকা। এই নিয়ে কম গর্ব ছিল না জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। এই পাড়ার অলিগলিতেই বড় হওয়া মিমিই এখন বাংলা ছবির প্রথম সারির নায়িকা। ইংরেজিমাধ্যম স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন অভিনেত্রী৷ উচ্চশিক্ষার জন্য তিলোত্তমায় চলে আসা তাঁর। পড়তে পড়তেই মেগা ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান মিমি। উত্তরের জেলার মেয়ের তৈরি হয় আলাদা পরিচিতি৷ সিরিয়াল থেকে সিনেমা জগতে পা রাখা। মিমির নতুন ছবি মুক্তি পেলেই দল বেঁধে সিনেমা হলে ছুটে যান এলাকার মানুষরা৷ গত কয়েক বছরেও মিমিকে নিয়ে উৎসাহের পারদ একইরকম স্থানীয়দের মধ্যে। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন মিমি৷ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন৷ শাসক দলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর একইরকমভাবে উচ্ছ্বসিত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা৷ গলির মোড়ে মোড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা। যেন যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতে বসে পড়েছেন একে অপরে।
[তৃণমূল প্রার্থী হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার নুসরত-মিমি]
এই মুহূর্তে কলকাতায় মিমির সঙ্গেই রয়েছেন তাঁর বাবা-মা দু’জনেই। ভাগ্নি প্রার্থী হচ্ছেন এই খবর শোনার পরই শহরে আসার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রীর মামা অভিজিৎ ওরফে রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘দিদি তাপসী চক্রবর্তী কলকাতায় মিমির সঙ্গেই থাকেন। জামাইবাবু সৌমেশ মাঝে মধ্যে জলপাইগুড়ি আসা যাওয়া করেন। বর্তমানে দু’জনেই মেয়ের সঙ্গে। বিকেলে দিদির কাছ থেকেই ফোনে মিমির প্রার্থী হওয়ার খবর জানতে পারি৷’’
[তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় ফের চমক, যাদবপুরে মিমি এবং বসিরহাটে লড়বেন নুসরত]
রাজনীতিতে এক্কেবারেই নবাগত মিমি৷ ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অভিনেত্রীর মামা রাম চক্রবর্তী। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পদের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দক্ষ সংগঠক হিসেবেও রাজনৈতিক মহলে তাঁর পরিচিতি৷ তাই ভোটের প্রচারে মামাকে পাশে চেয়েছেন মিমি৷ ভাগ্নির ডাক পেয়ে আর ফেরাতে পারেননি মামা৷ জানান, রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখছেন। দ্বিতীয় দফায় জলপাইগুড়িতে ভোট। জেলার ভোট শেষ করেই চলে যাবেন ভাগ্নির কাছে। একা নন, তাঁর সঙ্গে যাবেন মিমির বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী৷ মিমির মামা বলেন,‘‘জলপাইগুড়ির ভোট শেষ হলেই গন্তব্য কলকাতা। মিমিকে জেতাতে হবে যে!’’