অরূপ বসাক, মালবাজার: বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ। আচমকা বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার সাইলি চা বাগান। কাজ হারালেন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক।
[বাদুড়িয়ায় পবনপুত্রের শ্রাদ্ধে পাত পেড়ে খেলেন কয়েক হাজার মানুষ]
সোমবার সকালে কাজ যোগ দিতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয় শ্রমিকদের। তারা দেখেন কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। রবিবার রাতেই মাল থানায় নোটিস এর কপি জমা দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে বাগানের উৎপাদন কম এবং কর্মসংস্কৃতির দোহাই দেখিয়ে বাগান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ বাগান বন্ধ করে পালিয়ে যায় ম্যানেজার। অতর্কিতে এই ঘটনায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ১৫২৪ জন চা শ্রমিক। বাগান বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকরা কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখান। শ্রমিকদের দাবি প্রতি বছরই পুজোর পর উৎপাদনের অভাব দেখিয়ে বাগান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, এই সময় চা গাছের কাটিং হয়। এই পরিস্থিতির জন্য ম্যানেজার বসন্ত কুমার প্রধানের দিকে আঙুল তুলেছেন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, গত ২৯ ডিসেম্বর বাগানের উৎপাদন বাড়ানো এবং অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
[সেরা থানার নিরিখে দেশের মধ্যে চতুর্থ ধূপগুড়ি, উচ্ছ্বসিত পুলিশ]
শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবরে মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বরাইক চা বাগানে যান। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। বাগান খোলার ব্যাপারে তিনি শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। তাঁর অভিযোগ, মালিকপক্ষ চক্রান্ত করে বাগান বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। ২ বছর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন কার্যত অনাহারে ২ জন শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ওই বাগান বিয়াল্লিশ দিন বন্ধ ছিল। এবারের ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শ্রমিকরা। তবে বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে ঠিকমতো কর্মীরা কাজ করছিলেন না। তাদের হাজিরাও ছিল অনিয়মিত। এর ফলে উৎপাদন কম হয়। অক্টোবরের পর থেকে বাগানে নর্দমা পরিষ্কার হয় এবং চা গাছ ছেঁটে ফেলার কাজ হয়। তার ফলে শ্রমিকদের কার্যত বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দিতে হয়। লোকসান এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.