Advertisement
Advertisement

Breaking News

ছত্তিশগড়ে আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ জওয়ান, আসানসোলে শোকের ছায়া

শহিদ সঞ্জিত রেখে গেলেন বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে।

Jawan martyrs in Sukma, family in grief
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 12, 2018 11:26 am
  • Updated:December 12, 2018 11:26 am

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: শেষবার ছট পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন সিআরপিএফ জওয়ান সঞ্জিত কুমার হরিজন (৩২)। প্রতিবেশী বন্ধু বিকাশ কুমার ঝাঁ স্টেশন পর্যন্ত ছেড়ে এসেছিলেন তাঁকে। মঙ্গলবার তিনিই সঞ্জিতের পরিবারকে জানালেন দুঃসংবাদটা। আর জীবিত অবস্থায় নয়, সঞ্জিতের মৃতদেহ ফিরতে চলেছে আসানসোলের নিউ ঘুসিক কোলিয়ারির ইন্দিরা কলোনির বাড়িতে।

মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের সুকমায় আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হন সিআরপিএফের জওয়ান। গতকাল দুপুরে সুকমার জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সঞ্জিত। তখনই মাটিতে পুঁতে রাখা আইডিতে পা পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণে শরীরের নিচের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হেলিকপ্টারে রায়পুর নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ছত্তিশগড়ে ফোন করে সে খবর প্রথম পান বন্ধু বিকাশই। তখনও সঞ্জিতের পরিবারের লোকেরা কেবল জানতেন, পায়ে সামান্য চোট পেয়েছেন বাড়ির ছেলে। কিন্তু সন্ধেয় বিকাশের থেকে খবর পাওয়ার পরই শোকে ডোবে গোটা পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা-স্ত্রী।

Advertisement

শহিদ সঞ্জিতের বাবা রাম আয়ুধ হরিজন প্রাক্তন খনি কর্মী। চাকরিসূত্রে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাম আয়ুধ পরিবার নিয়ে আসানসোলে আসেন। সঞ্জিতের জন্ম উত্তরপ্রদেশে, কিন্তু বেড়ে ওঠা আসানসোলেই। সেখানেই ডিএভি পাবলিক স্কুলে ক্লাস দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা তাঁর। ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সিআরপিএফে যোগ দিয়েছিলেন সঞ্জিত। বি-১৫০ ব্যাটেলিয়নের কর্মরত জওয়ান
ছিলেন তিনি। সঞ্জিতের বাবার কাছে মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে ফোন আসে। ফোনে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় পায়ে সামান্য আঘাত লেগেছে সঞ্জিতের। রাম আয়ুধরা সে খবর জানান প্রতিবেশী তথা ছেলের বন্ধু বিকাশকে। এরপর বিকাশও বন্ধুর কর্মস্থলে ফোন করেন। জানতে পারেন, সঞ্জিতের চোট গুরুতর। পরে সন্ধেয় ফের ফোন করে আসে দুঃসংবাদ। আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছেন বন্ধু।

Advertisement

এমন খবরে ভেঙে পড়েছেন বিকাশ। বলছেন, “ছট পুজোয় শেষবার এসেছিল। আমাকে বলে গিয়েছিল, তুই তাড়াতাড়ি চাকরিতে যোগ দে। আজ সেই আর রইল না।” সঞ্জিত রেখে গেলেন বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে। তাঁর মেয়ের বয়স মাত্র দু’বছর। হরিজন বাড়িতে এখন মহাশূন্যের নীরবতা।

ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ