Advertisement
Advertisement

চাল কিনছে না এফসিআই, বঞ্চিত কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদ করে এবার এফসিআই কর্তাদের বিরু‌দ্ধে তোপ দাগলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কেন্দ্র সরকারের আক্রমণের বিরু‌দ্ধে সরব হয়েছেন৷ সেই সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, এফসিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে৷ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের কৃষকদের ধান কিনছে না৷ কেরোসিনের বরাদ্দ কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সমালোচনা করেছেন […]

Jyotipriya Mallick Slams FCI for the sake of bengal farmers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 27, 2016 12:06 pm
  • Updated:July 27, 2016 12:09 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদ করে এবার এফসিআই কর্তাদের বিরু‌দ্ধে তোপ দাগলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কেন্দ্র সরকারের আক্রমণের বিরু‌দ্ধে সরব হয়েছেন৷ সেই সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, এফসিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে৷ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের কৃষকদের ধান কিনছে না৷ কেরোসিনের বরাদ্দ কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সমালোচনা করেছেন খাদ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন, “কেরোসিনের বরাদ্দ কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন৷ ২০১১ সালে যখন বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮০ হাজার ২৬২ কিলোলিটার৷ এখন সেই বরাদ্দ কমে হয়েছে ৭০ হাজার ১০০ লিটারের মতো৷ কেরোসিনের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোটা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানকে দেওয়া হচ্ছে৷ এটা চরম অসহযোগিতা৷” রাজ্যের খাদ্যসচিব অনিল ভার্মা এফসিআই নিয়ে দিল্লিতে নালিশ জানাবেন৷

মঙ্গলবার খাদ্য ভবনে রেশন বণ্টন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী৷ পরে তিনি জানান, ই-টেন্ডারিংয়ে ৮০টি মিলকে আটা-ময়দা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে৷ স্বাস্থ্যকর জায়গা, সিলিং মেশিন, মার্বেল ঘর-সহ বেশ কিছু মাপকাঠি রাখা হয়েছিল৷ আরও ৪৬টি মিলকে ই-টেন্ডারে আহ্বান করা হয়েছে৷ অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা, পিএইচএইচ বা অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত বাড়ি, এসপিএইচএইচ কার্ডধারীরা দু’টাকা কেজি দরে আটা পাবেন৷ ৫০ গ্রামের প্যাকেটে আটা মিলবে৷ প্রতি কেজি গমের জন্য প্রায় ১.৫২ টাকা ভাঙানোর খরচ দেবে রাজ্য৷ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র প্রতি কেজিতে তিন টাকা নিলেও রাজ্য দু’টাকা দরে দাম নিচ্ছে৷ অর্থাৎ প্রতি কেজিতে এক টাকা করে ভরতুকি দিচ্ছে রাজ্য৷ পাশাপাশি কিষান মাণ্ডিতে সারাবছর স্থায়ীভাবে অফিসার থেকে কৃষকদের থেকে ধান কেনার কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী৷ গতবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগমকে চাল কেনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও এবার খাদ্য দফতরের কর্মী-অফিসাররাই এই কাজ করবেন৷

Advertisement

কেন্দ্রের অসহযোগিতার ক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, “কিছু রাইস মিলের পক্ষ থেকে গেলেও নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে৷ জোনাল ম্যানেজার যখন বলছেন, চাল কিনবে৷ তখন এরিয়া ম্যানেজার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন কেনা হবে না বলে৷ প্রতি ক্ষেত্রে প্রায় দশ হাজার টাকা করে গুনাগার দিতে হয়েছে৷ জানি না কী খেলা! আবারও এফসিআই কর্তাদের সঙ্গে বসব৷ আমরা চাই, যাতে এফসিআই চাল নিয়ে অন্য রাজ্যে অন্তত দিতে পারে৷” জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তথ্য দিয়েছেন, এফসিআই এখনও ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনেছে৷ রাজ্য কৃষকদের থেকে প্রায় ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কিনেছে৷ লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ লক্ষ পেরিয়ে যাবে বলে তাঁর আশা৷ অন্যদিকে, অন্য রাজ্য থেকে গম কেনায় সমস্যার কথাও বলেছেন তিনি৷ পাশাপাশি খাদ্যমন্ত্রী জানান, নতুন ডিজিটাল কার্ড তৈরির কাজ দ্রূতগতিতে চলছে৷ জাল পুরনো কার্ডের ক্ষেত্রে নতুন অন্তর্ভুক্তি হবে৷

Advertisement

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ