Advertisement
Advertisement

সংস্কার হলেও ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে কপালকুণ্ডলা মন্দির

প্রতিষ্ঠা পায়নি কালীমূর্তি, এলাকায় ক্ষোভ।

Kali idol in Kapalkundala temple irks villagers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 14, 2017 11:24 am
  • Updated:September 27, 2019 12:47 pm  

রঞ্জন মহাপাত্রকাঁথি: প্রায় চার বছর আগে সংস্কার হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পায়নি কালীমূর্তি। যে কারণে নতুনভাবে সেজে ওঠার পরও ঝোপের আড়ালে মুখ লুকিয়েছে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর গ্রামের ঐতিহাসিক কপালকুণ্ডলা মন্দির।

[আলোর উৎস কালীমূর্তি, কয়েক লক্ষ কাচে প্রতিমায় হরেক চমক]

Advertisement

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত এই মন্দির হেরিটেজ ঘোষণা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। তবে প্রতিমা প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় এবারও কালী পুজোয় অন্ধকারের মধ্যেই আড়ালে রাত কাটবে কপালকুণ্ডলা মন্দিরের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল জানান, ‘‘মন্দির সংস্কার হয়েছে। এবারে মূর্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও নজরে রয়েছে। আগামী দিনে স্থানীয়দের দাবি মতো মূর্তিও প্রতিষ্ঠা হবে। তাহলেই মন্দিরটি পূর্ণতা পাবে।’’ তবে কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় এলাকাবাসীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মন্দিরের সংস্কারের কাজ প্রায় চার বছর আগে শেষ হয়েছে। তারপর থেকে মন্দিরটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। অনেকে মন্দির দর্শনে এসে তাতে কোনও প্রতিমা না দেখে বিস্মিতও হন।

[বেগার খেটেই কালীপুজোয় ‘রাজঋণ’ শোধ করে মেটে সম্প্রদায়]

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মানসকন্যা কপালকুণ্ডলা নামাঙ্কিত এই মন্দিরটি দীর্ঘকাল জীর্ণ, ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০০৯ সালে মন্দিরটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। দায়িত্বে ছিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের। তবে নানা সমস্যার কারণে মন্দিরটি সংস্কারের কাজ বিলম্বিত হয়। অবশেষে মন্দিরটি সংস্কার হয় ২০১৩ সালের শেষের দিকে। এর জন্য খরচ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ। তবে এই মন্দিরে আগে কালীপুজো হত কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। কারণ বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসে কালীমূর্তির কথা বলা হলেও এখানে কোনও বিগ্রহ ছিল কিনা তা জানা নেই অনেকের। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মন্দিরে কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা হোক। এর ফলে মন্দিরকে ঘিরে যে এলাকার মানুষের আলাদা আবেগ রয়েছে, তা অনেকটা বাড়বে। পাশাপাশি কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে ফাঁকা মন্দিরটি পূর্ণতা লাভ করবে। বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠবে দারিয়াপুর।

[কালীপুজোয় দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ফিরে আসে সাগিরা গ্রামে]

কালীপুজোর সময় বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা মন্দির ছেড়ে গ্রামবাসীরা সামনে থাকা কপালকুণ্ডলা মন্দিরে মা কালীর আরাধনায় মেতে ওঠেন। কপালকুণ্ডলার স্মৃতিতে গ্রামবাসীরা এতটাই বিভোর যে, পুরানো মন্দির থেকে কিছুটা দূরে কাঁথি-পেটুয়াঘাট রাস্তার পাশে আরও একটি কালীমন্দির গড়ে তুলেছেন তাঁরা। গ্রামের বাসিন্দারা মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেন। দারিয়াপুর বঙ্কিম স্মৃতিরক্ষা কমিটির সদস্য প্রদ্যোৎ পড়িয়ারি বলেন, ‘‘হেরিটেজ কমিশন ভগ্নপ্রায় মন্দিরের পুরানো রূপটাকে নতুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে মাত্র। আমরা যতদূর জানি, মন্দিরে মূর্তি বসানোর এক্তিয়ার তাদের নেই। আমরাও চাই মন্দিরে কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হোক।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement