Advertisement
Advertisement

দেবীর স্বপ্নাদেশ, মহানবমীতে কুমারী পুজো করেন কান্দির দত্তবাড়ির বউরা

৪০০ বছরের রীতি মেনে বনেদি বাড়ি ৯ কুমারীর পুজো হয়।

Kandi family perform Kumari Puja during Maha Navami

ছবিতে দত্তবাড়ির দুর্গাদালান।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 19, 2018 4:43 pm
  • Updated:September 26, 2018 7:37 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ রইল পাঁচথুপির দত্তবাড়ির দুর্গাপুজোর কথা।

চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: দেবী মহামায়ার আদেশ। তাই পাঁচথুপির দত্তবাড়িতে নবমীর দিনে হয় কুমারী পুজো। প্রায় ৪০০ বছর আগে নটবর দত্ত মহানবমীর দিন কুমারী পুজো শুরু করেন। মুর্শিদাবাদের কান্দির বড়ঞা থানার পাঁচথুপির দত্তবাড়িতে আজও সেই নিয়মেই পুজো হয়। আজও মুর্শিদাবাদের মানুষ পাঁচথুপির কুমারী পুজো দেখতে মহানবমীতে হাজির পাঁচথুপির দত্তবাড়িতে হাজির হন। প্রতিমাতেও বিশেষত্ব রয়েছে। ডাকের সাজের সাত পুতুলের এক চালির মধ্যে প্রতিমা। দত্তবাড়িতে বৈষ্ণব মতে পুজো। দুর্গা ষষ্ঠীর দিন দেবীর বোধনের ঘট ভরা দিয়ে পুজোর শুরু। কলাবউ স্নান,  শোভাযাত্রা সহকারে নতুন পুকুর থেকে মহাসপ্তমীতে দেবীর ঘট ভরে আনা হয়। 

Advertisement

মহানবমীতে কুমারী পুজোর শেষ। দশমীর দিন গ্রামের অন্য ঠাকুরদের সঙ্গে একই পথে নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। ৪০০ বছরের পুরনো রীতি মেনেই চলে পুজো।এই পাঁচথুপির বাসিন্দা তথা সাহিত্যিক মুক্তিময় ঘোষ হাজরার কথায়, ‘এখানেও বেলুড় মঠের মতোই কুমারী পুজো হয়। তবে আচার, নিয়ম আলাদা। এই পরিবারের একাধিক সধবা বধু যদি মনষ্কামনা করেন যে কুমারী পুজো করবেন, তবে একাধিক ব্রাহ্মণ কন্যাকে (নবম বর্ষীয়া) নিয়ে আসা হয়। পুজো শেষে ভোজন করিয়ে একটা সোনার অলঙ্কার উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়। এই বাড়িতে কুমারী পুজোর প্রচলিত শ্রুতি রয়েছে।’

Advertisement

[২৫২ বছর ধরে জোড়া দুর্গার পুজো, আসানসোলের মণ্ডলবাড়িতে ঐতিহ্যের স্বাদ]

স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ কুমার ঘোষ হাজরা জানান, নটবর দত্ত দুর্গা পুজোর প্রচলন করেছিলেন। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনিই মহানবমীতে কুমারী পুজোর রীতি শুরু করেন। কুমারী পুজো দত্তবাড়ির বিশেষ বিশেষত্ব। নবমীর পুজোর শেষে ন’বছরের কোনও ব্রাহ্মণ কন্যাকে নিয়ে এসে সুসজ্জিত নতুন বস্ত্র পরিয়ে দেবী দুর্গার সামনে বসিয়ে পুজো করা হয়। টিপ, মালা, ফুল, চন্দন সজ্জিত কুমারীর সামনে থাকে মিষ্টি, ও ফল। দেবী দুর্গার ন’টি রূপে পুজো ও আরতি করা হয়। ব্রাহ্মণ পুজো করার পর পরিবারের বধূরা পুজো করেন। তার পর হয় দশমী পুজো। প্রতি বছর এই কুমারী পুজো দেখতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা দত্তবাড়িতে উপস্থিত হন।

[অশক্ত শরীরে উত্তরসূরিদের পুজোর মন্ত্র শেখাচ্ছেন সেবাইত-বাবা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ