চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: কনস্টেবল খুনে দোষী সাব্যস্ত কর্ণ বেরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল হলদিয়া মহকুমা আদালত৷ শনিবার কর্ণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়৷ সোমবার সকালে কনস্টেবল খুনের মামলায় কর্ণকে হলদিয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক আশিসকুমার দাসের এজলাসে পেশ করে পুলিশ৷ সরকারি ও অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের তরফে সওয়াল জবাবের পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া কর্ণ বেরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত৷
[কুলতলির ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে বাঘের হামলা, প্রাণহানি মৎস্যজীবীর]
এদিনের এই মামলায় শুনানি চলাকালীন আদালত চত্বরে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি৷ সাজা ঘোষণার পর পুলিশের নজর এড়িয়ে কোনওভাবেই যাতে কর্ণ পালাতে না পারে, তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল৷ কেননা, গত মাসেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আদালত থেকে পালিয়ে যায় কর্ণ৷ যদিও, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কর্ণকে আবারও পাকড়াও করে পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল নবকুমার হাইতকে গুলি করে খুন করে কর্ণ। ওই রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাপাসএড়িয়ায় দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে গিয়ে তাদের ছোড়া গুলিতে মারা যান নবকুমার। এই ঘটনায় মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের সঙ্গে মিনিটদুয়েক ফোনে কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বছরদুয়েক ধরে এই মামলার শুনানি চলে৷ শুনানি শেষে শনিবার দোষী সাব্যস্ত করা হয় কর্ণ এবং তার সাগরেদ শেখ রহিমকে৷ সোমবার দু’জনকেই আদালতে তোলা হয়৷ কর্ণের যাবজ্জীবন সাজা এবং তার সাগরেদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন হলদিয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক আশিসকুমার দাস৷ আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরল মৃত পুলিশকর্মী নবকুমারের পরিবারে৷
[খবরের জের, অজয় নদের চরে গজিয়ে ওঠা চোলাই ঠেক ভাঙল পুলিশ]