Advertisement
Advertisement
কলা

পড়ুয়াদের খাবার থেকে বাদ দিতে হবে কলা, প্রশাসনকে চিঠি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের

কেন এমন দাবি তাঁদের?

Katwa school says no to banana as student's throw tantrum
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 3, 2019 10:08 am
  • Updated:August 3, 2019 10:08 am

ধীমান রায়, কাটোয়া: সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পে খাবারের তালিকা থেকে কলা বাদ দিতে হবে। এই দাবি তুলে কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, কলা একটু কাঁচা থাকলে তা নিতে চাইছে না কচিকাঁচারা। কলা বেশি পাকা হলে তাও পছন্দ হচ্ছে না পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। মনের মতো কলার জোগান দিতে তারা কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। তাই কলার পরিবর্তে অন্য কোনও পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক বলে দাবি তুলেছেন কাটোয়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা।

কাটোয়া মহকুমা এলাকায় রয়েছে পাঁচটি ব্লক। কাটোয়া ১, কাটোয়া ২, কেতুগ্রাম ১, কেতুগ্রাম ২ এবং মঙ্গলকোট। জানা গিয়েছে এই পাঁচ ব্লক মিলে রয়েছে ১১০০-এর বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। শুক্রবার মহকুমা এলাকা মিলে প্রায় ২০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে। সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কেন্দ্রের শিশুদের খাবারের তালিকা থেকে যেন কলা বাদ দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৬ দিনের মধ্যে তিনদিন টিফিনে একটি করে কলা ও আধখানা ডিম দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তার জন্য বরাদ্দ মোট মাখাপিছু ৪ টাকা ৫০ পয়সা। বাকি তিনদিন টিফিনের জন্য ছাতু ও একটি করে ডিম দেওয়া হয়। তার জন্য সরকারিভাবে ৭ টাকা ৮ পয়সা বরাদ্দ করা হয়।

Advertisement

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অর্চনা সামন্ত, নমিতা রায়রা বলেন, ”খাবারের তালিকায় কলা থাকায় আমরা খুব সমস্যায় পড়ছি। আগেরদিন কলা কিনে রেখে দিতে হয় পরেরদিনের জন্য। কিন্তু অনেকসময় পাকা কলা কিনে নিয়ে যাওয়ার পর নরম হয়ে যায়। তখন কেন্দ্রের বাচ্ছারা ঝামেলা করে। আবার শক্ত কলা দিলে অভিভাবকরা নালিশ জানান। শিশুরা খেতে চায়না। আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকসময় নিজেদের বেতন থেকে কলা কিনে দিতে হচ্ছে।”
কর্মীরা এদিন অভিযোগ করেছেন তাদের জন্য আগে টিফিন দেওয়া হত। সেই বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সান্মানিক ভাতা সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। তার প্রতিকারের দাবি করেছেন। প্রকল্পের শিশু ও মায়েদের পুষ্টির জন্য যে উপকরন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার তুলনায় বরাদ্দ কম রয়েছে। তা বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ