সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: একের পর এক টোটো গাড়ি এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল। বিগত দেড় মাস ধরে এই চুরির ঘটনা ঘটছিল। পুলিশি তদন্তে শেষপর্যন্ত সাফল্য এল। গ্রেপ্তার করা হল টোটো চুরি ও পাচারচক্রের কিংপিন হাসান দেওয়ানকে। ১১টি টোটো উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ লাগোয়া দ্বীপে সেই টোটোগুলি রাখা ছিল। তাহলে রাজ্যের বসিরহাট এলাকা থেকে চুরি যাওয়া টোটো কি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হচ্ছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বসিরহাটের মাটিয়া, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ ও বসিরহাট থানার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত মহকুমার দেগঙ্গা থানা এলাকা থেকে একের পর এক টোটো চুরি হয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়। তদন্তে নামে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি ডাঃ হোসেন মেহেদি রহমানের নির্দেশে বাদুড়িয়া থানার ওসি অতনু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রতন বর্মন ও শাহিদুল গাজিকে। তাদের জেরা করে টোটো চুরির কিংপিন হাসান দেওয়ানের নামও উঠে আসে। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চলে তল্লাশি। পরবর্তীতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও গোসাবা থানার সহযোগিতায় গোসাবার একটি দ্বীপ থেকে হাসান দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। গোসাবার বাংলাদেশ লাগোয়া দ্বীপ থেকে উদ্ধার হয় ১১টি টোটো।
আজ, শুক্রবার সেসব টোটো আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বসিরহাটের পাশাপাশি বারাসত পুলিশ জেলারও চুরি যাওয়া টোটো উদ্ধার করে দিয়েছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে বসিরহাট পুলিশ জেলার এক বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কী কারণে টোটোগুলি গোসাবার একটি দ্বীপে একত্রিত করা হয়েছিল? টোটো গুলি কি দেশের অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল? নাকি ট্রলারে করে বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল? পাশাপাশি এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের কোনও যোগ আছে কি? সব কিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.