সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামেদের ডাকা ৬ ঘণ্টার বাংলা বনধে রাজ্যের কোথাও কোনও সাড়া মিলল না। কলকাতা থেকে জেলা- সর্বত্রই স্বাভাবিক জনজীবন। শিয়ালদহ থেকে হাওড়া, সর্বত্রই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকেই রাস্তায় প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি বাস চলছে। স্কুল-কলেজে অন্যদিনের মতোই যাচ্ছে পড়ুয়ারা। কোনওরকম অশান্তি এড়াতে আগেভাগেই রাস্তায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রেখেছে রাজ্য সরকার। কর্মনাশা ধর্মঘট রুখতে সকাল থেকেই এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
[রাজ্যে গণতন্ত্রের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিরোধীরা, তোপ পার্থর]
শুক্রবার ভোর থেকেই শ্যামবাজার, হাজরা, যাদবপুরে জমায়েত হতে শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। যদিও কোনও মিছিল বের হয়নি। খোলা রয়েছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটের প্রভাব নেই বিমানবন্দরেও। লেকটাউনে সকালে বামেদের একটি মিছিল শুরু হলেও জনজীবনে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সকাল থেকেই এলাকায় সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে পথে নেমেছেন। ঘুরে দেখেন বিমানবন্দর চত্বরও। বনধের রাজনীতি ব্যর্থ করতে বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি কর্মীরা কাজে না এলে কাটা যাবে ছুটি ও বেতন। কর্মজীবনের একদিন বাদ যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে নবান্ন। ফলে আজ সকাল থেকে নবান্নে অন্য দিনের মতোই ব্যস্ততা চোখে পড়েছে।

ধর্মঘটের প্রভাব নেই জেলাতেও। পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, বর্ধমান, বাঁকুড়া বা বীরভূমে জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বনধের কোনও প্রভাব নেই। অন্যান্য দিনের মতোই কর্মব্যস্ততা জেলায় জেলায়। বনধের বিরোধিতায় কোচবিহারে আজ সকালে মিছিল বের করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। জাতীয় সড়কেও যান চলাচল স্বাভাবিক। কলকাতার রাস্তায় চলছে প্রায় ৩০০০ বাস। বারাসতে বামেদের ডাকে একটি মিছিল বের হয়। চাঁপাডালি মোড় খানিকক্ষণের জন্য অবরোধ করে বাম কর্মীরা। আজ বেলায় শিয়ালদহ ও ধর্মতলায় বামেদের মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে বলাই যায়, এদিন বাম ও কংগ্রেসের ডাকা বনধকে সার্বিকভাবে ব্যর্থ করে দিলেন সাধারণ মানুষই।