সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দু’দিন। চার বছর পর দশের কোঠায় থাকল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সোমবার পারদ আরও নেমে আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়াল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কলকাতার থেকে ঠান্ডায় আরও কেঁপেছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা। শৈলশহর কালিম্পংকে টপকে শ্রীনগরের পারদ নেমেছে ৫.৮ ডিগ্রিতে।
[‘তৃণমূলের সঙ্গেই আছি’, বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন না জানিয়ে দিলেন মঞ্জু]
জমিয়ে ঠান্ডা আছে। আরও কয়েক দিন থাকবে। কার্যত এই ভাষায় অভয়বাণী আবহাওয়া দপ্তরের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে রোজ একটু একটু করে নামছে পারদ। রবিবার ছিল ১০.৬। সপ্তাহের প্রথম দিনে আরও কিছুটা নেমে ১০.৫-এ থিতু হল আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। এমনকী দিনের তাপমাত্রাও খুব বেশি বাড়বে না। সর্বোচ্চ তামপাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি থাকবে। যার ফলে আরও একটি শীতলতম দিনের রেকর্ড। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রা এমনই থাকার সম্ভাবনা। এমনকী সামান্য হলে পারদ নামতেও পারে। পরিসংখ্যান বলছে গত চার বছরে তাপমাত্রা কখনই এতটা নামেনি। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি। আবহবিদদের ব্যাখ্যা জাঁকিয়ে শীতের জন্য যে যে অনুকূল পরিবেশ দরকার হয় তার প্রত্যেকটি এখন বজায় রয়েছে।
[কাশ্মীরে ক্রিকেট ম্যাচে ফের বাজল পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত]
মহানগরে পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডায় একেবারে জবুথবু গোটা রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের শ্রীনিকতেনের পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। সেখানে পারদ নেমেছে ৫.৮ ডিগ্রিতে। বাঁকুড়ায় সকাল থেকে কুয়াশা। পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৬ ডিগ্রি। মালদায় দিনের তাপমাত্রা নেমেছে ১৬ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম। জলপাইগুড়ির একই অবস্থা। কৃষ্ণনগরের পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে আসানসোল ৭.১ এবং বর্ধমান ৭.৮ ডিগ্রি। পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। অতএব শীতের এক্কেবারে পৌষ মাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.