Advertisement
Advertisement

রাত নামলেই মৃদু কম্পনে ফাটল ধরছে দেওয়ালে, আতঙ্ক ছড়াল রানিগঞ্জ

পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Landslide Ranigung's coal mine region
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 28, 2019 10:13 am
  • Updated:January 28, 2019 10:13 am

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল:  কেঁপে উঠছে মাটি, ফাটল ধরছে বাড়ির দেওয়ালে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রানিগঞ্জের বেলিয়াবাথান এলাকার বাসিন্দারা।  ধসে ক্ষতিগ্রস্ত কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি। স্থায়ী পুর্নবাসনের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

[ বিনা অনুমতিতে বৃক্ষনিধনে বিতর্ক, তড়িঘড়ি বন্ধ করল সেচ দপ্তর]

Advertisement

রানিগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বেলিয়াবাথান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু, রাত নামলেই মৃদু কম্পন অনুভূত হচ্ছে। দেওয়ালে সুতোর দাগের মত হালকা ফাটল দেখা দিচ্ছে।  তা বাড়তে বাড়তে এক সময় বড় আকার নিচ্ছে। মাস তিনেক ধরে এমনটা হচ্ছে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। রমেশ টুডু, দুর্গাদাস মূর্মূ, শুকু বাস্কি, লক্ষ্মী মাণ্ডিদের অভিযোগ, তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় সপরিবারে যেন পাতালে প্রবেশ না ঘটে তাই রাতও জাগছেন। আদিবাসী পাড়ার পাশে পুকুরের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। জানা গিয়েছে, বেলিয়াবাথান গ্রামের খুব কাছেই কোলিয়ারি। ব্রিটিশ আমলে এই কোলিয়ারি থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হত। ঠিক মত বালি ভরাট না হওয়ায় খনিগর্ভ শূন্যই থেকে গিয়েছে। তাই মাঝে মাঝেই ধস নামছে। ধসের কারণে তাই প্রায় কোনও কোনও বাড়িতে কম্পন অনুভূত হচ্ছে।

Advertisement

Asansol Landslide

রানিগঞ্জের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, বেলিয়াবাথান গ্রামের বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর উচ্চ কর্তৃপক্ষকেও। তারপরেই সরকারি প্রতিনিধি দল ওই এলাকা পরিদর্শন করে যান। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও। ইসিএলের সিএমডি কারিগরি সচীব নিলাদ্রি রায় জানিয়েছেন, ধস পুর্নবাসন প্রকল্পে দু’হাজার কোটির মধ্যে ইসিএল রাজ্যকে কয়েকবছর আগেই ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে। প্রথম ধাপের কাজ শেষের পর সেই টাকা আবারও দেওয়া হবে। কিন্তু দশ বছর ধরে সেই কাজ শেষ করতে পারেনি এডিডিএ। তিনি আরও বলেন, ধস কবলিত এলাকা আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে। রানিগঞ্জের ওই অঞ্চলটিও ধস কবলিত। খনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এলাকায় বেআইনি খাদানে বিস্ফোণের জেরে কম্পন হতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।

[ গরু খুঁজতে গিয়ে উদ্ধার যুবকের পচাগলা দেহ, চাঞ্চল্য সিউড়িতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ